লালমনিরহাটে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে লালমনিরহাট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ৩০শে অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে একটি মসজিদে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় শহীদুন্নবী জুয়েল নামের একজন ব্যক্তিকে।
সেই ঘটনায় যে মামলা করা হয়, তার এজাহারে এই ব্যক্তির নাম ১ নম্বরে রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ওয়ালিদ হোসেন জানান, গোয়েন্দা পুলিশ তার গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল। রংপুর থেকে একটি নৈশ কোচে সে ঢাকায় আসছে খবর পেয়ে আগেই গোয়েন্দা পুলিশ প্রস্তুতি নিয়ে ছিল। বাস থেকে নামার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, সেখানে এই ব্যক্তি প্রথমে মারধর শুরু করেছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন।
এর আগে এই মামলায় আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বিবিসিকে বলছেন, তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে পাটগ্রাম থানায়, এসব মামলায় শত শত মানুষকে আসামী করা হয়েছে। এদের মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামীও যেমন আছে, তেমনি আসামীর নাম উল্লেখও করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
লালমনিরহাটে নৃশংস হামলায় নিহত ব্যক্তি কে ছিলেন
লালমনিরহাট হত্যা: পাঁচ জন গ্রেপ্তার, মামলা দায়ের, শত শত আসামী
লালমনিরহাট হত্যাকাণ্ড: 'ঘটনা নিষ্পত্তি হওয়ার পরেও আবার উস্কে দেয়া হয়েছে’
গণপিটুনির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড, নৃশংশতার বিস্তার ঘটছেই
পুলিশ এখন ভিডিও ফুটেজ ধরে ধরে আসামীদের চিহ্নিত করছে। এরই মধ্যে বহু মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহত শহীদুন্নবী জুয়েল তার এক বন্ধু পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গেলে তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে মুসুল্লিরা তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে মারধোর শুরু করে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন মসজিদটির খাদেম।
স্থানীয় প্রশাসন ওই দুইজনকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে নিয়ে রাখলেও বাইরে হাজার হাজার মানুষ জমে যায় এবং দরজা ভেঙ্গে, দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে পুনরায় মারধোর শুরু করে।
পুলিশ বলছে তারা একজনকে উদ্ধার করতে পারলেও উত্তেজিত জনতা মি. জুয়েলকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে এবং পরে তার মরদেহ মহাসড়ক পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়ে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়।
মি. জুয়েলের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু লালমনিরহাট হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে নৃশংস এই ঘটনার দ্রুত বিচার ও তদন্তের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয়রা।
বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:
নির্বাচনে কে বিজয়ী হয়েছেন, তা কখন জানা যাবে?
পেনসিলভানিয়াতেও ট্রাম্পকে ফেলে এগিয়ে বাইডেন
এক নজরে দেখে নিন আমেরিকা নির্বাচনে সর্বশেষ ফলাফল
আমেরিকা নির্বাচন ২০২০: ভোট গণনা নিয়ে ট্রাম্পের দলে গৃহবিবাদ শুরু