পাকিস্তানের কালো তালিকাভুক্ত দেশ হওয়া কি সময়ের অপেক্ষা? কী বলছে এফএটিএফ
আর্থিক তছরুপ নিয়ে নজরদারি চালানো আন্তর্জাতিক সংস্থা এফএটিএফ বা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বড় ধাক্কা দিল পাকিস্তানকে।
আর্থিক তছরুপ নিয়ে নজরদারি চালানো আন্তর্জাতিক সংস্থা এফএটিএফ বা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বড় ধাক্কা দিল পাকিস্তানকে। তারা চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করার আগে একটি রিভিউ পেশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ইমরান খানের পাকিস্তান ইউএনএসসিআর ১২৬৭ অনুযায়ী ২০০৮ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সঈদ ও তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তথা জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা এবং জামাত-উদ-দাওয়ার বিরুদ্ধে কোনওরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
পাকিস্তান জঙ্গি মদত বন্ধ করেনি
গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানে বিভিন্ন কার্যকলাপ খতিয়ে দেখার পর সেই আন্তর্জাতিক সংস্থা মনে করছে, জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য করা, তাদের নানা রকম ভাবে মদত জোগানো পাকিস্তান সরকার বন্ধ করেনি। ফলে চূড়ান্ত রিপোর্টে পাকিস্তানকে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে তা এফএটিএফ-এর এই রিভিউ থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
সব জায়গায় পিছিয়ে পাকিস্তান
এই সংস্থার চল্লিশটি আলাদা আলাদা মাপকাঠির মধ্যে ৩৬টিতেই পাকিস্তান ধার্য মানদন্ডে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। যার ফলে গত বছরেই পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত দেশের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আর এবার চূড়ান্ত রিপোর্টে সম্ভাবনা রয়েছে পাকিস্তানকে জঙ্গিদের আর্থিক মদতের কারণেই কালো তালিকাভুক্ত দেশের তালিকায় ফেলে দেবে এফএটিএফ।
ইসলামাবাদকে সতর্কতা
পাকিস্তানকে নিয়ে দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, কালো তালিকাভুক্ত দেশ হিসেবে পাকিস্তানকে নিজেদের বাঁচাতে হলে ইসলামাবাদকে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এবং সেদেশের মাটিতে সক্রিয় থাকা জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। তার সঙ্গে আর্থিক সংস্থান বন্ধ করতে হবে।
জঙ্গি মদত বন্ধ করুক পাকিস্তান
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের উচিত জঙ্গিগোষ্ঠী যেমন - দয়েশ, আল-কায়েদা, জামাত-উদ-দাওয়া, লস্কর-ই-তৈবা, জঈশ ই মুজাহিদিন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যাতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া যায়। এবং এই সমস্ত গোষ্ঠী পাকিস্তানের কাছ থেকে আর্থিক মদত যাতে না পেতে পারে সেটাও ইসলামাবাদকে নিশ্চিত করতে হবে।
এবার কালো তালিকায় ঢোকার আশঙ্কা
২০১৮ সালের জুন মাসে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের কারণেই এফএটিএফ পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে দিয়েছে। সঙ্গে ১৫ মাসের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল। যাতে এই সময়ের মধ্যে ইসলামাবাদ ভুলত্রুটি শুধরে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। সেই রিভিউ এই মাসের শেষে করা হবে। তার আগে এফএটিএফ যে বক্তব্য পেশ করল তাতে পাকিস্তানের কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও অনেকগুণ বেড়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
[সৌদির রাজপুত্রের থেকে ধার নেওয়া 'প্লেন' ফেরত দিতে হচ্ছে ইমরানকে! ]
[কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ২০০ থেকে ৩০০-র বেশি পাক মদপুষ্ট জঙ্গি বাস করছে! সরব ডিজিপি]