বিশ্বে সবচেয়ে নিবিড় সম্পর্ক হবে ভারত ও আমেরিকার , বললেন বাইডেন
Array
আজ কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। যোগ দিয়েছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনও। সেখানে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সাক্ষাৎ হয় এবং সেখানেই জো বাইডেন বলেছেন যে ভারত আমেরিকা সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
ভারত - মার্কিন সম্পর্ক
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, "আমাদের দেশগুলো একসঙ্গে অনেক কিছু করতে পারে এবং করবে। আমি চাই বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে সবথেকে কাছে সম্পর্ক হোক ভারত - মার্কিন সম্পর্ক
ভ্যাকসিন নিয়ে
জো বাইডেন বলেছেন "আমি আনন্দিত যে আমরা ভারতে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউএস ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সাথে একটি বিশেষ চুক্তি করেছি। ভ্যাকসিন উৎপাদন, ক্লিন এনার্জি উদ্যোগকে সমর্থন করছি আমরা। আমি আনন্দিত যে আমরা ইন্দো-মার্কিন ভ্যাকসিন অ্যাকশন প্রোগ্রাম পুনর্নবীকরণ করছি।"
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে
"আমরা ইউক্রেনে রাশিয়ার নৃশংস এবং অযৌক্তিক আগ্রাসনের প্রভাব এবং সমগ্র বিশ্বের উপর এই আগ্রাসনের প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেছি। কীভাবে এই নেতিবাচক প্রভাবগুলি প্রশমিত করা যায় সে বিষয়ে মার্কিন-ভারত ঘনিষ্ঠভাবে পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছে," প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় একথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
মোদী কী বলেন ?
"আমরা আজ একটি ইতিবাচক এবং প্রয়োজনীয় কোয়াড সামিটে একসাথে অংশ নিয়েছি। ভারত ও মার্কিন সম্পর্ক প্রকৃত অর্থে বিশ্বাসের সম্পর্ক। আমাদের অভিন্ন স্বার্থ এবং মূল্যবোধ আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাসের এই বন্ধনকে শক্তিশালী করেছে।" মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী এই কথা বলেন।
এদিকে চিনের সঙ্গে ভারতের সব দিক থেকে লড়াই চলছে। সবথেকে বড় সমস্যা চলে সীমান্তে। সেখানে চিন সব সময়েই ভারতের কার্যত পিছনে পড়ে থাকে। তার সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ প্যাংগং লেকের দুই ধারে ব্রিজ তৈরি করা। এর অর্থ স্পষ্ট। সীমান্তে ভারতের উপর চাপ তৈরি করা। পাশাপাশি অর্থনৈতিক লড়াই তো রয়েইছে। আর সব লড়াইয়ের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে একটি দেশ অর্থনৈতিক ভাবে কতটা শক্ত তার উপর। ঠিক সেই উদ্দেশ্য নিয়েই ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমি ফ্রেমওয়ার্কে যোগ দিল ভারত , যা নেতৃত্ব দেয় বাইডেনের আমেরিকা।
এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বলেন "ভারত একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিশ্বাস করে যে অংশীদারদের মধ্যে অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি হবে এর ফলে। পাশাপাশি এটি দেশেগুলির মধ্যে শান্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ ভারত আইপিইএফের অধীনে অংশীদার দেশগুলির সাথে সহযোগিতা করতে আগ্রহী এবং অগ্রগতির দিকে কাজ করতে আগ্রহী। এই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোও এর উদ্দেশ্য"।