যুক্তরাজ্য-ভারত কনক্লেভে নতুন ভারতের কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল
ভারতের রেলমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী তথা কয়লামন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও বক্তব্য রাখলেন যুক্তরাজ্য-ভারত কনক্লেভে।
ভারতের রেলমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী তথা কয়লামন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও বক্তব্য রাখলেন যুক্তরাজ্য-ভারত কনক্লেভে। এর আগে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার থেকে শুরু করে কেন্দ্রের অনেক মন্ত্রী এই সভায় বক্তব্য রেখেছেন। এদিন সেই তালিকা আলো করলেন পীযূষ গোয়েল।
নয়াদিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন। ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ সহ একাধিক বিষয়ে তিনি বক্তব্য রেখেছেন।গত চারবছরে আমরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি, যার উপরে ভিত্তি করে আগামী তিন চার দশক ভারত এগিয়ে যাবে। আমরা একসময়ে অনেক জটিলতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। তবে ভারত এখন অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছে।
- ভারতের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভারতের অর্থনীতি অনেকদিন পর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বাড়াতে পেরেছি। আজ আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে যে জায়গায় পৌঁছেছি তা আগে কোনওদিনই পারিনি।
- যার ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারত সম্মান আদায় করে নিতে পেরেছে। ভারতে নীতি নির্ধারণের ফলে দুর্নীতি আগের চেয়ে অনেক কমে গিয়েছে। জিএসটির ফলে অর্থনীতির সরলীকরণ করা গিয়েছে।
- গত চারবছরে আমরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি, যার উপরে ভিত্তি করে আগামী তিন চার দশক ভারত এগিয়ে যাবে। আমরা একসময়ে অনেক জটিলতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। তবে ভারত এখন অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছে।
- ভারতের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভারতের অর্থনীতি অনেকদিন পর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বাড়াতে পেরেছি। আজ আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে যে জায়গায় পৌঁছেছি তা আগে কোনওদিনই পারিনি।
- যার ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারত সম্মান আদায় করে নিতে পেরেছে। ভারতে নীতি নির্ধারণের ফলে দুর্নীতি আগের চেয়ে অনেক কমে গিয়েছে। জিএসটির ফলে অর্থনীতির সরলীকরণ করা গিয়েছে। আমরা স্বচ্ছ্ব অর্থনীতির দেশ হিসাবেই বিশ্বের সামনে নিজেদের মেলে ধরেছি।
- স্বচ্ছ্ব ভারত নিয়েও এদিন কথা বলেন পীযূষ গোয়েল। এই বিষয়টি কেন্দ্র সরকারের অ্যাজেন্ডায় রয়েছে। ভোট রাজনীতির দিকে না তাকিয়ে মানুষের হয়ে কাজ করতে এই সরকার ব্রতী হয়েছে বলে পীযূষ গোয়েল বলেছেন।
- এই সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, ভবিষ্যতের দিকটি গড়ে দিতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি সরকার। আটের দশকের শেষে চিনে যেমন অর্থনৈতিক বিপ্লব হয়েছিল, সেই পথেই ভারত এগিয়েছে।
- সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে পীযূষ গোয়েল বলেন, আমরা মানুষের ভাবনা বদল করতে চেয়েছি। আগে আমরা ভবিষ্যতের কথা না ভেবে ছোট ছোট পদক্ষেপ করা হতো। পরে তার কুফল টের পেয়েছি আমরা। কংগ্রেস যে মডেল এনেছিল, ২০১৪ সালে এসে বিজেপি সেটাকে বদলে দিতে পেরেছে। সরকার দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের পথেই হাঁটছে বলে পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন।
- বিজেপি সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকি উঠিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছে। কীভাবে সরকার এটা ব্যালান্স করছে? এই প্রসঙ্গে পীযূষ গোয়েল বলেছেন, আমরা আর্থিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বাস করেন, ভোটের দিকে না তাকিয়ে যেটা ভারতের জন্য ভালো হবে, সেটাই করা উচিত। আর ভারতের জনতা মোদীকে বিশ্বাস করে, তিনি যা করবেন ভালোর জন্য করবেন।
লন্ডন ও বাকিংহ্যামশায়ারে যুক্তরাজ্য-ভারত সপ্তাহ ২০১৮ পালিত হচ্ছে। এই উপলক্ষ্যে ১৮-২২ জুন নানা অনুষ্ঠান, আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। দুই দেশের সংষ্কৃতি, প্রযুক্তি, বানিজ্য ভাবনার আদানপ্রদানে এই কনক্লেভ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ককে এই অনুষ্ঠান অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।