ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত প্রতিরক্ষা চুক্তি সাক্ষর হল
আজ, বুধবার চীনের রাষ্ট্রপতি জি জিনপিন ও প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মনমোহন। এদিনই চীনা লোকসভার ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যান ঝাং দেজিয়াং এর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
এদিন ভারত-চীনের মধ্যে মোট ৯টি চুক্তি সাক্ষরিত হল
বুধবারই
এই
সীমান্তপ্রতিরক্ষা
চুক্তি
সাক্ষর
হল।
যদিও
মার্জিত
ভিসা
শাসন
অধরাই
রয়ে
যাবে।
ভারতের
প্রধানমন্ত্রীর
এই
সফর
সফল
বলে
এদিন
জানান
প্রধানমন্ত্রী
লি
কেকিয়াং।
প্রতিরক্ষা
ও
সামরিক
সহ
অন্যান্য
মন্ত্রণালয়ের
আধকিকারিকদের
নিয়ে
গঠিত
বিশেষ
দল
দ্বারাও
এই
চুক্তি
গৃহীত
হয়েছে।
এই
চুক্তির
মাধ্যমে
ভারতের
সঙ্গে
পাকিস্তানের
যে
নির্মাণকৌশলে
যোগাযোগ
হয়ে
থাকে
চীনও
দুই
দেশের
ডিজিএমও-র
মধ্যে
সংযোগের
জন্য
সেই
কৌশলই
ব্যবহার
করবে।
এই সীমান্ত প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রস্তাব, "লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল"-এ ৪০০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভারত ও চিনের সৈন্যদের সম্মুখীন হওয়া বন্ধ করা হবে। চীনের পক্ষ থেকে এই সীমান্ত প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রস্তাব চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আনা হয়েছিল। কিন্তু 'পিপলস লিবারেশন আর্মি'-র সৈন্য দ্বা ভারতে আক্রমণের ফলে সেই প্রস্তাব আলোচনাধীন ছিল। এই নতুন চুক্তির অধীনে সীমান্তের পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাব জানিয়েছিল কিন্তু ভারত সরকার আগেই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিন প্রাতঃরাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের পরই এই চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত পাঁচ মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হচ্ছে। এদিন রাতেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য রাতে একটি ভোজ রেখেছেন রাষ্ট্রপতি জিনপিং।
এই সফরে চীনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মনমোহন বেশ চিনের কয়েকজন বিশিষ্ট শিল্পপতিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে সূত্রের খবর। ২৪ তারিখ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় স্কুলে ভবিষ্যৎ জননেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই চীন সফর দুই দেশের ক্ষেত্রই অত্যন্ত অর্থবহ বলে মনে করছে দুই দেশের রাজনৈতিক মহল।