বিরল প্রজাতির দাঁতহীন ডাইনোসরের খোঁজ মিলল অস্ট্রেলিয়ায়
বিরল প্রজাতির দাঁতহীন ডাইনোসরের খোঁজ মিলল অস্ট্রেলিয়ায়
পৃথিবীর বুকে এখন রাজ করছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিলুপ্তির আগে এভাবেই প্রায় ১৬ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে রাজত্ব করেছিল এক বৃহদাকার সরিসৃপ ডাইনোসর। এত বছর পরেও এই প্রাণীটিকে নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এদের নিয়েই তৈরি হয়েছে মিচেল ক্রিকটনের উপন্যাস অবলম্বনে স্টিফেন স্পিলবার্গের 'জুরাসিক পার্ক’ সিনেমাটি। এখনও গোটা পৃথিবী জুড়ে এই সিনেমাটি দেখতে দর্শকেরা মুখিয়ে থাকেন। একবার ভাবুন তো এই সময় যদি আবার খোঁজ মেলে এই ডাইনোসরের ?
অস্ট্রেলিয়ায় খোঁজ মিলল দাঁতহীন ডাইনোসরের
সম্প্রতি, সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মিলেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। খোঁজ মিলেছে দাঁতবিহীন এক বিরল প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্মের। ইলাফ্রসর প্রজাতির ডাইনোসরটি নাকি ১১ কোটি বছর আগে অস্ট্রেলিয়াতেই ঘোরাফেরা করত।
কেমন দেখতে ছিল এই ডাইনোসর ?
জীবাশ্ম খতিয়ে দেখা গেছে, এই প্রজাতির ডাইনোসর গুলির দীর্ঘাকৃতি গলা দেখা যেত। ছোট ছোট হাতের মতো দেখতে পা এবং হালকা শরীর। উদ্ভট প্রজাতির এই ডাইনোসরের তরুণ বয়সে দাঁতের হৃদিশ মিললেও প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় তারা সকলেই ছিল দাঁতহীন। দাঁতের পরিবর্তে ইলাফ্রসরের ছিল শৃঙ্গাকার চঞ্চু।
ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ
আমাদের কাছে ডাইনোসর এখনও খানিক রূপকথার গল্পের মতই। পৃথিবীর বুকে এক সময় বিচরণ করতো যে অতিকায় ডাইনোসররা, আজ শুধু পাওয়া যায় তাদের হাড়গোড় আর জীবাশ্ম। গবেষকরা মনে করেন পৃথিবীতে এক বিরাট আকারের গ্রহাণুর আঘাতে যে বিস্ফোরণ ও পরিবেশগত পরিবর্তন হয়েছিল সেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনেই ডাইনোসররা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
আর কি কখনো ফিরতে পারে ডাইনোসর?
এখনও আট থেকে আশি প্রত্যেকেরই কৌতুহলের কারণ এই ডাইনোসর। আর কি কোনোদিন দেখা মিলবে এই ডাইনোসরের? জুরাসিক পার্কের কাল্পনিক চরিত্র গুলো কি আর কখনো স্বচক্ষে দেখা সম্ভব? একেবারেই তা অসম্ভব, বিজ্ঞানীরা কিন্তু সে কথা বলছেন না। ‘আজগুবি' বলে উড়িয়েও দিচ্ছেন না সেই সম্ভাবনা বা আশঙ্কা। কারণ, বিবর্তনের নিয়মেই ডাইনোসররা হারিয়ে গিয়েছে পৃথিবী থেকে। তারপর বিবর্তনের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই সরিসৃপ থেকে এসেছে স্তন্যপায়ী প্রাণীরা। হয়ত বিবর্তনের রথের চাকাই আবার খোঁজ দেবে এমন কোনো প্রাণীর।
'বাংলার ৯৯ শতাংশ প্রায় শেষ,দুই ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে'! আক্ষেপের সুর বিষন্ন মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে