উইকেট নিয়েছেন ভেবে ব্যালট নিয়ে উৎসব! পাক নির্বাচন কমিশনের কোপে ইমরান খান
একেই বলে উৎসবের নাম গোবিন্দ। আর গোবিন্দ মার্কা অবস্থা হল ইমরান খানের। ক্রিকেট ময়দানের মশলায় ভরপুর ইমরান। তাঁর আভিজাত্য মার্কা চলন-বলনের সঙ্গে বরাবরই একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব।
একেই বলে আনন্দে আত্মারাম হয়ে দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হওয়া। আর এই অবস্থা হল ইমরান খানের। ক্রিকেট ময়দানের মশলায় ভরপুর ইমরান। তাঁর আভিজাত্য মার্কা চলন-বলনের সঙ্গে বরাবরই একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব। আর ইমরান খানের ইমেজের এটাই ইউএসপি। কিন্তু, ভোটের ময়দানে এমন ইমেজকে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে হাল কী হয় তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ইমরান খান।
পরিস্থিতি এমন হয়েছে পাক নির্বাচন কমিশন না ইমরান খানের ভোট বাতিল করে দেয়। ৩০ জুলাই তাঁকে নির্বাচন কমিশনের প্যানেলের সামনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসলে সমস্যার সুত্রপাত এদিন ইমরান খানের ভোট দেওয়া নিয়ে। ইসলামাবাদের এনএ-৫৩ নম্বর আসন থেকে ভোটে লড়াই করছেন ইমরান। সেখানে ভোট দিতে গিয়ে রীতিমতো আবেগ তাড়িত। আচমকাই নিজের ব্যালটটাকে মিডিয়ার ক্যামেরার দিকে তাক করে হাত নাড়তে থাকেন। মিডিয়ার ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে তখন চারিদিকে হই-হই রই-রই অবস্থা। কিন্তু, ইমরানের এই আচরণে ক্ষিপ্ত নির্বাচন কমিশন। ব্যালটকে এভাবে মিডিয়ার সামনে দেখিয়ে দেওয়াটা নিয়ম লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে।
ইমরানকে এই ঘটনায় আপাতত সমন ধরিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের নিয়ম নিয়ে প্রবল কড়াকড়ি রয়েছে পাকিস্তানে। ভোটের নিয়ম লঙ্ঘন করলে সেখানে কড়া শাস্তি পেতে হয়। গোটা ঘটনাটি জানার পর নির্বাচন কমিশন ইমরানকে ৩০ জুলাই ডেকে পাঠিয়েছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের প্যানেলের সামনে ইমরানকে কারণ দর্শাতে হবে। সেরকম হলে ইমরানের ভোট বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
তা হঠাৎ এমনভাবে প্রকাশ্যে ব্যালট দেখাতে গেলেন কেন ইমরান? পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কোনও নিয়মই ভঙ্গ করেননি ইমরান। বিষয়টিতে ভুয়ো খবর বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন-এর নেতা শাহবাজ শরিফ ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী খায়াজা আসিফকে অভিযুক্ত করেছে ইসিপি। ভোট দানের পর তাঁরা কেন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন এই নিয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে করাচি থেকে ভোটে রিগিং-এর অভিযোগে ১ মহিলা-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।