সৌদি আরব আর ইরানের দ্বন্দ্ব মেটাতে উদ্যোগী হল পাকিস্তান
সম্পর্কের চরম অবনতী হয়েছে সৌদি আরব আর ইরানের মধ্যে। কিছুতেই দুই দেশের মধ্যে বিবাদ মিটছে না। বিশেষ করে সৌদির অ্যামরাকো তেলের কারখানায় ড্রোন হামলার পরে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ চরমে উঠেছে।
সম্পর্কের চরম অবনতী হয়েছে সৌদি আরব আর ইরানের মধ্যে। কিছুতেই দুই দেশের মধ্যে বিবাদ মিটছে না। বিশেষ করে সৌদির অ্যামরাকো তেলের কারখানায় ড্রোন হামলার পরে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ চরমে উঠেছে। কয়েকদিন আগেই সৌদি আরবের কাছে ইরানে তেল বোঝাই জাহাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। তাতে সৌদি আরবের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। এই নিয়ে এখন দুই দেশের মধ্যে চাপান উতর চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ময়দানে নেমেছে পাকিস্তান।
আজই দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আজই তেহরান যাচ্ছেন। সেখানে ইরানের প্রেসিডেন্ট হুসেইন রুহানির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। হুসেন রুহানির সঙ্গে বৈঠক সারার পরেই তিনি উড়ে যাবেন রিয়াধে। সেখানে সৌদি আরবে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইমরান। সূত্রের খবর এই মধ্যস্থতার পর্যায়ে ইমরান খানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরাও সফর করবেন। যদিও ইমরান খানের এই সফর ঘিরে ভীষণ গোপনীয়তা বজায় রেখেছে পাকিস্তান। কখনই ইমরান খান ইরানে যাবেন তাঁর সময়সূচি নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছে।
[ মধ্যপ্রাচ্যে তুর্কী আগ্রাসন: আরব্য হুঁশিয়ারি তুরস্ককে! যুদ্ধ নিয়ে গর্জন আরব দুনিয়ার ]
যদিও এই প্রথম পাকিস্তান এই দুই দেশের বিবাদ মেটাতে উদ্যোগী হয়নি। এর আগে ২০১৬ সালে নওয়াজ শরিফও ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে বিবাদ মেটানোর মধ্যস্থতা করেছিল। তবে বার বিবাদ শুধু ইরান আর সৌদি আরবের মধ্যে নয়, বিবাদ বেঁধেছে আমেরিকার সঙ্গেও। কয়েকদিন আগেই সৌদি আরবের যুবরাজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেিছলেন ইরানকে শায়েস্তা করা না হলে ভুগতে হবে গোটা বিশ্বকে।