ইমরান 'একা' রক্ষা করবেন ৮০ লক্ষ কাশ্মীরিকে! মোদী-ট্রাম্পকে দিলেন কড়া বার্তা
জি সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাশ্মীর বিষয়ক বৈঠকের পর চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
জি সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাশ্মীর বিষয়ক বৈঠকের পর চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীর ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরই ইমরান খান বলেন, কাশ্মীরের জনগণকে তিনি ভারতের অত্যাচার থেকে উদ্ধার করবেনই।
কাশ্মীরিদের রক্ষা করবেন ইমরান!
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাফ বার্তা, যতদূর যেতে হয় যাব, কাশ্মীরের মানুষকে তিনি ভারতের অত্যাচার থেকে রক্ষা করবেনই। সোমবার একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাখ্যান করে সঠিক কাজ করেনি। ৩৭০ ধারা বিলোপ করে তিনি ৮০ লক্ষ কাশ্মীরির পাশে রয়েছেন। তাঁদের অত্যাচারিত হতে তিনি দেবেন না।
মোদীর ঐতিহাসিক ভুল ৩৭০ বিলোপ!
ইমরান বলেন, কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি ঐতিহাসিক ভুল করেছেন। এই সিদ্ধান্ত তাঁর অহংকারের। রাজ্যে সেনা মোতায়েন করে ভারত সরকার কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছেন। নেহরুর প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে গিয়ে, নিজস্ব আদালতের বিরুদ্ধে গিয়ে, জাতিসংঘের আনা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
গোটা বিশ্ব না দাঁড়ালেও পাকিস্তান দাঁড়াবে
তাঁর কথায় গোটা বিশ্ব যদি এই ৮০ লক্ষ কাশ্মীরির পক্ষে না দাঁড়ায়, পাকিস্তান কাশ্মীরের পাশে দাঁড়াবে। তাঁর কাশ্মীরের পাশে দাঁড়ানো জরুরি বলেই মনে করে। তিনি বলেন, পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ের উপর আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনায় ৪৪ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় তদন্ত শুরুর আগেই ভারত সরকার আঙুল তুলেছিল স্থানীয় কাশ্মীরি যুবকের দিক। ভারত সরকার পাকিস্তানকে অপবাদ দিয়ে গিয়েছে প্রতি ক্ষেত্রে।
মোদী সরকারের পাশাপাশি আরএসএসকেও নিশানা
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এদিন আরএসএসকেও নিশানা করেন। ইমরান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার ‘আরএসএসের ফ্যাসিবাদী আদর্শ' অনুসারে কাজ করছে। মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার আরএসএসের মতোউ বিশ্বাস করে যে ভারত হিন্দুদের জন্য একটি দেশ। অন্য সমস্ত সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে গণ্য করে মোদী সরকার। এই মতাদর্শই কাশ্মীরে ভারতের ক্রিয়াকলাপের পিছনে একটি কারণ।