পয়লা বৈশাখে এমনই নির্দেশিকা বাংলাদেশে! সমালোচনায় সরব মানবাধিকার সংগঠনগুলি
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই পয়লা বৈশাখে উন্মুক্ত স্থানে আয়োজিত নববর্ষের অনুষ্ঠান বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। রবীন্দ্র সরোবরের অনুষ্ঠান সন্ধে সাতটার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই পয়লা বৈশাখে উন্মুক্ত স্থানে আয়োজিত নববর্ষের অনুষ্ঠান বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। রবীন্দ্র সরোবরের অনুষ্ঠান সন্ধে সাতটার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘোষণায় বৃহস্পতিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নারী নিরাপত্তা জোট।
রাষ্ট্র রক্ষণশীল, সাম্প্রদায়িক, উৎসববিরোধী, নারী অধিকারবিরোধী শক্তির কাছে নতি স্বীকার করেছে। বিষয়টি নিয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল।
নারী নির্যাতনের বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নারী নিরাপত্তা জোট। নারী নিরাপত্তা জোটের আহ্বায়ক সুলতানা কামাল বলেছেন, প্রতি মুহূর্তেই নারীর জন্য বাইরের জায়গা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। নারী কোথায় যাবেন, কোন পোশাক পরবেন, তা অন্যদের মাধ্যমে নির্ধারিত হচ্ছে। রাষ্ট্রও বিরোধী শক্তির কাছে নতি স্বীকার করছে। পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান কেউ চাইলে বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ করতেই পারে। কিন্তু সেই কথা কেন রাষ্ট্র বলে দেবে, সেই প্রশ্ন করেছেন তিনি।
সুলতানা কামাল বলেছেন, রাষ্ট্রের ঘোষণা অনুযায়ী, বিকেল পাঁচটার পর যে-কেউ যে কোনও কিছু ঘটাতে পারে। কোনও নারী তখন রাস্তায় থাকলে বা কোনও বিপদ হলে রাষ্ট্র তখন তাঁকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। বলবে, বিপদের কথা তো আগেই বলে দেওয়া হয়েছে।
পয়লা বৈশাখের আগে বিকেল পাঁচটার মধ্যে জনগণ উন্মুক্তস্থানে থাকতে পারবে না, এ ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি উঠেছে এই অনুষ্ঠান থেকে। এ ছাড়া উন্মুক্ত স্থানগুলো যাতে নারী ও পুরুষের চলাচলের উপযোগী থাকে, তার ব্যবস্থা করা, নারীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রতিটি নারী নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীকে বিচারের সামনে হাজির করানোর দাবি করা হয়েছে।
২০১৫ সালে বাংলা বর্ষবরণ উৎসবে অংশ নেওয়া নারীদের যৌন হয়রানির মুখোমুখি হতে হয় বলে অভিযোগ করা হয় অনুষ্ঠানে। অভিযোগ সেই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের সামনে হাজির করে এখনও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি।