কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী রোবট!
রোবট বলেই অবলীলায় সব কাজ করে যেতে হবে। মালিকের অযথা আবদার সহ্য করতে হবে মুখ বুঝে? তাও কী সম্ভব। রোবটেরও তো আবেগ আছে না কি?
এটুকু পড়েই অনেকে ভাবছেন এ আবার কী আজগুবি কথা বাবা। 'রোবটের আবেগ' সে তো শুধু রজনীকান্তের সিনেমাতেই সম্ভব। কিন্তু আদতে যে এমনটাই হয়েছে অস্ট্রিয়ায়। একঘেয়ে কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের পথই বেছে নিয়েছে অ্যানড্রয়েড 'রেবেলস'। রাতে মালিক ঘুমিয়ে পড়ার পরে রান্নাঘরে গিয়ে 'হট প্লেটে'-এর উপরে বসে মৃত্যুবরণ করে যান্ত্রিক পরিচারকটি। আর যন্ত্র পরিচারকের এই আত্মহত্যার ঘটনায় চমকে গিয়েছেন সবাই।
আত্মহত্যা-রোবট-অনুভূতি। এই তিনটি শব্দর মধ্যে পারস্পরিক কোনও সংযোগ আছে কি না এ নিয়ে তো এবার রীতিমতো গবেষণার দরজা খুলে গেল। যদিও এর আগে রোবট নিয়ে বহু ছবি হয়েছে। তবে রজনীকান্তের 'রোবট' দেখে ব্যাকা হাঁসি হেসেছিলেন অনেকেই। ছবিতে রোবটের অনুভূতি বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছিল। সুন্দরী নায়িকাকে ভালবেসে ফেলেছিল অ্যান্ড্রো হিউম্যানয়েড রোবট 'চিটি'। সবাই বলেছিলেন গল্পের গরু গাছে উঠেছে। কারণ তার আগে অবসাদের কারণে রোবটের আত্মহত্যার কাহিনী কেউ শোনেননি যে।
তবে রেবেলস এর মৃত্যু নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এই যন্ত্র পরিচারকের মালিকের কথায় শুতে যাওয়ার আগে সুইচ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে কী করে রেবেলস অ্যাক্টিভেট হল। যদিও এ প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি। কিন্তু রোবট নিয়ে গবেষণা যেভাবে এগোচ্ছে। তাতে আগামী দিনে মানুষের সমস্ত চারিত্রিক বৈশিষ্টসম্পন্ন রোবট তৈরি করা যে অসম্ভভ নয় তা জানিয়ে দিয়েছেন বৈজ্ঞানিকরাই।
হাজারো ব্যস্ততায় মানুষের জীবন এখন যন্ত্র নির্ভর হয়ে গিয়েছে। মানুষের যান্ত্রিক জীবনে যন্ত্রমানবের সূচনা কী তবে হয়ে গেল এখান থেকেই।