ঘন্টায় ২০৫ কিমি গতিতে উপকূলে আছড়ে পড়বে ‘সুপার টাইফুন’ রাই! জারি করা হল HIGH ALERT
একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়! গত কয়েকদিন আগেই আমেরিকার বুকে আছড়ে পড়ে বিধ্বংসী ঝড়। প্রায় ১০০ জনের উপর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার ছবি দেখে রীতিমত আঁতকে ওঠেন পরিবেশপ্রেমীরা। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ধেয়ে আসছ
একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়! গত কয়েকদিন আগেই আমেরিকার বুকে আছড়ে পড়ে বিধ্বংসী ঝড়। প্রায় ১০০ জনের উপর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার ছবি দেখে রীতিমত আঁতকে ওঠেন পরিবেশপ্রেমীরা। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ধেয়ে আসছে আরও একটি টাইফুন।
ভয়ঙ্কর শক্তি পাকিয়ে একটা স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কার্যত উপকূল এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদে সরানোর কাজ চলছে।
কড়া নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা
প্রতি মুহূর্তে সাইক্লোনের দিকে কড়া নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা। ধেয়ে আসা টাইফুনের নাম দেওয়া হয়েছে রাই। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সাইক্লোনের অভিমুখ ফিলিপাইনে দিকে। এটি ফিলিপাইনের দিনাগাট ও সুরিগাও প্রদেশে আঘাত হানতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা। সাইক্লোনের শক্তি দেখে চার নম্বর ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়েছে। 'সুপার টাইফুন' হিসাবেই রাইকে দেখছেন আবহাওয়াবিদরা। বিপদের আশঙ্কায় দ্রুত সাধারণ মানুষকে সরানোর কাজ চলছে।
স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে
ফিপিলাইন আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এটি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে। সমুদ্রে ১৬৫ কিলোমিটার গতিতে এই টাইফুন স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে। তবে এটি যখন স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তার গতিবেগ ঘন্টায় ২০৫ কিমি হবে বলে আশঙ্কা। ফলে এর আঘাত ভয়ঙ্কর হবে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি স্থলভাবে আঘাত হানতে পারে। আর তা ঘাত হানলে ধ্বংসাত্বক চেহারা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রভাব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে
সাইক্লোনের প্রভাব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। সে দেশে ব্যাপক গতিতে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বিমান ওঠানামা কার্যত বন্ধের মুখে। বেশ কয়েকটি লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন না পড়লে সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। বিশেষ করে ঝড় চলাকালীন বাড়িতে থাকার কথা বলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি রাখা হয়েছে। ঝড় থামলেই উদ্ধার কাজে নামবে বাহিনী।
১৫টি টাইফুন আছড়ে পড়েছে
চলতি বছরে সে দেশে এখনও পর্যন্ত ১৫টি টাইফুন আছড়ে পড়েছে। যার মধ্যে এটি ভয়ঙ্কর বলেই দাবি আবহাওয়াবিদদের। তবে ঝড়ের দাপট সামলানোর জন্যে ফিলিপাইন্স তৈরি আছে। এমনটাই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
লন্ডভন্ড হয় আমেরিকা
আমেরিকায় গত কয়েকদিন আগে আছড়ে পড়া টর্নোডোতে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ঘন্টায় ৩২০ কিলোমিটার টর্নোডোর আঘাতে বহু বাড়ি ধূলিসাৎ হয়। ছাদ ভেঙে গিয়েছে। কারখানায় ছাদ ভেঙে প্রাণ গিয়েছে বহু কর্মীর। কেনটাকিতে একটি মোমবাতি কারখানা, ইলিনয়ের একটি অ্যামাজন কারখানা এবং আরকানসাসের একটি নার্সিং হোমে আঘাত করেছিল টর্নেডো। আর এই আতঙ্কের মধ্যেই ধেয়ে আসছে আরও বড় এক বিপদ! যার নাম রাই।