'বিপজ্জনক' হয়ে উঠবেন তিনি, অপসারিত হওয়ার পর দাবি ইমরান খানের
'বিপজ্জনক' হয়ে উঠবেন তিনি, অপসারিত হওয়ার পর দাবি ইমরান খানের
সিংহাসন গিয়েছে কিন্তু আত্মবিশ্বাস এখনও তুঙ্গে! ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর এবার ইমরান খানের দাবি, তিনি 'আরও বিপজ্জনক' হয়ে উঠবেন। বুধবার পাকিস্তানের পেশোয়ারে এক সমাবেশে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন সরকারের অংশ ছিলাম তখন আমি বিপজ্জনক ছিলাম না, কিন্তু এখন আরও বিপজ্জনক হব।' এরপরই ইমরান প্রশ্ন তোলেন, 'কেন মধ্যরাতে আদালত খোলা হয়েছিল?' প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমেই ইমরান খান অনাস্থা ভোটে যেতে বাধ্য হয়েছেন৷
যদিও প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাঁর অপসারণে চক্রান্তের অভিযোগ তুলছেন ইমরান৷ তিনি প্রশ্ন করেছিলেন যে গত সপ্তাহে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করার আগে কেন মধ্যরাতে আদালত খোলা হয়েছিল। ৯ এপ্রিল, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে শুনানির জন্য গভীর রাতে আদালত খোলা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বিধানসভার তৎকালীন স্পিকার আসাদ কায়সার মধ্যরাতে ভোট করেননি। এরপরই স্পিকার তখন পদত্যাগ করেন এবং একই রাতে বিধানসভায় ভোট হয়।
ইমরান খান পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হলেন। বুধবার সমাবেশে ইমরান খান ঘটনাবলীর বিষয়ে বলেন, 'রাতে আদালত খোলা হয়েছিল কেন? আমি কি কোনো আইন ভঙ্গ করেছি? তিনি দাবি করেন যে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করেনি এবং জিও নিউজের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইমরান সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনোই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে উস্কানি দেননি। অন্যদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি এবং পিএমএল (এন) এর আহসান ইকবালের মতো অন্যান্য নেতারা বিচার বিভাগকে প্রশ্ন করার জন্য ইমরান খানের সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন যে, ইমরান খান সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে আদালত খোলা হয়েছিল।
তবে এখানেই থামেননি ইমরান খান, তিনি বলেছেন, 'আমদানি করা সরকার' গ্রহণ করবে না৷ ইমরান খান আরও বলেছেন যে নতুন সরকার, যাকে তিনি 'আমদানি করা' বলেওম উল্লেখ করেছেন, সেটিকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত কোর্টেও ইমরান জানিয়েছিলেন তাঁকে সরিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখলের জন্য বিদেশী অর্থ ব্যবহৃত হচ্ছে৷ এদিনের সমাবেশ থেকে ইমরান বলেন, 'আমরা আমদানি করা সরকারকে মেনে নেব না এবং এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন তারা কি চান।
তিনি বলেন, দেশে যতবারই একজন নেতাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, জনগণ উৎসব করেছে, কিন্তু এবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। রবিবার সারা পাকিস্তানে ইমরান খানের সমর্থনে মিছিল হয়েছে। ইমরান খান ধারাবাহিকভাবে দাবি করে আসছেন যে পাকিস্তানে তার সরকারকে অপসারণে বিদেশি দেশ জড়িত রয়েছে। বুধবারের সমাবেশে তিনি বলেন, আমেরিকা আমাদের উপর এই দস্যুদের (নতুন সরকার) চাপিয়ে দিয়ে পাকিস্তানকে অপমান করেছে! এরপর তিনি জুলফিকার আলী ভুট্টোর প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, ১৯৭০ এ জুলফিকারকে মার্কিন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বরখাস্ত করা হয়েছিল, কিন্তু এটি ১৯৭০ এর পাকিস্তান নয়। এটি নতুন পাকিস্তান।