দিনাজপুরে সাতজন মিলে ধর্ষণ কিশোরীকে, গ্রেফতার হয়নি কেউ
স্থানীয় সূত্রে খবর, গণধর্ষিতা কিশোরীটি পাথরঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ে। বাড়ি বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের চিলকুড়া গ্রামে। তার বাবা গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কেয়ারটেকার। গত মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামের এক যুবক রুবেলের সঙ্গে তাকে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। রুবেলের সঙ্গে কিছুদিন ধরে তার প্রেম চলছিল বলে খবর। ওইদিন পাথরঘাটা নদীর ধারে রুবেল তাকে নিয়ে যায় এবং ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে দেয়। মেয়েটি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে সাতজন মিলে তাকে পরপর ধর্ষণ করে। রুবেল প্রথম ধর্ষণ করে। বাকিরা রুবেলের বন্ধু। মেয়েটি বারবার কাতর আবেদন জানালেও তাকে ছাড়েনি দুর্বৃত্তরা।
ধর্ষণের পর ওই কিশোরীরে নগ্ন অবস্থায় ফেলে রেখে পালায় তারা। বাড়ির লোকজন খুঁজতে বেরিয়ে সন্ধেবেলা তাকে উদ্ধার রক্তাক্ত অবস্থায়। প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে নিয়ে আসা হয় দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নীলফামারীতে বধূ খুন: এদিকে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে মারল এক বধূকে। মৃতার নাম পারভিন আখতার। গতকাল দুপুরে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর ইটাখোলা সিনদই গ্রামে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বধূর স্বামী মোবাশেরকে। গ্রেফতার হয়েছে ননদও। শ্বশুরবাড়ির বাকি লোকজন পলাতক। তাদের খুঁজে বের করতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
বিয়ের দাবিতে অনশন: এক্ষুণি বিয়ে করতে হবে, এই দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করল প্রেমিকা। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নাছোড়াবান্দা যুবতীর নাম সুলতানা রাজিয়া।
স্থানীয় সূত্র অনুসারে, সরকারপাড়া গ্রামেরই বাসিন্দা আতিয়ার রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সুলতানা রাজিয়ার। এই সম্পর্কে আপত্তি জানায় আতিয়ারের পরিবার। তার বাবা-মা অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করে। এই খবর পেয়ে রাজিয়া চড়াও হয় আতিয়ারের বাড়িতে। কিন্তু বাড়ির লোকজন তাকে বের করে দিলে তিনি সটান বাড়ির সামনেই বসে পড়েন। দাবি করেন, যতক্ষণ না বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ অনশন চলবে।