করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক বের করার পথে আমেরিকা
করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক বের করার পথে আমেরিকা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউন ও সামাজিক দুরত্ব বজায় ছাড়া আর কোনও বিকল্প রাস্তা এখনও পর্যন্ত নেই গবেষক–বিশেষজ্ঞদের কাছে। এই মহামারি রোগের কোনও প্রতিষেধক বা ওষুধ এখনও বের হয়নি। তবে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছে পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন যে করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক হয়ত তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন।
করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধক
বৃহস্পতিবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই বিষয়টি জানিয়েছেন। এদিনই বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক মিলিয়ন অতিক্রম করেছে। নতুন এই গবেষণার কথা প্রকাশ করা হয়েছে ইবিআইওমেডিসিনে। এই নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, রোগের বিস্তারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে এই প্রতিষেধ দ্রুত বের করা যেতে পারে।
ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে
নিউ ইয়র্কের পোস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে যে গবেষকরা নতুন এই প্রতিষেধকটি ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করেছে এবং এটি ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল। এটি ইঁদুরের ওপর কোনও সময় ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু তাও এটি প্রয়োগ করে দেখা গেল মাত্র দু'হপ্তার মধ্যে এই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। পিটসবার্গের গবেষকরা বলেছিলেন যে তাঁরা ইতিমধ্যে একই রকম করোনভাইরাস, সার্স এবং মার্স নিয়ে গবেষণাতেও সফল হয়েছিল। এই গবেষণার সহ-শীর্ষ লেখক অ্যান্ড্রিয়া গামবটো জানান যে উভয় ভাইরাসের সঙ্গেই মিল রয়েছে সার্স-কোভ-২-এর। দুটি ভাইরাস স্পাইক প্রোটিন সম্পর্কে গুরুতর শিক্ষা দেয়, এটি করোন ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জাগাতে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম যে এই নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোথায় লড়াই করতে হবে।'
প্রতিষেধকের প্রয়োগ পদ্ধতি
গবেষকদের মতে, নতুন সম্ভাব্য প্রতিষেধক দেওয়ার পদ্ধতিটি ঐতিহ্যবাহী ইনজেকশন পদ্ধতি থেকে পৃথক, প্রাণীর ভেতর স্পাইক প্রোটিন প্যাচের মাধ্যমে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। একটি প্যাচে ৪০০টি ছোট ছোট সূঁচ থাকে যা চিনি এবং প্রোটিনের টুকরো দিয়ে তৈরি হয়। ব্যান্ড-এইডের মতো এই প্যাচ সূঁচসহ ত্বকের ওপর লাগানো হয় ও সূচগুলি পরে ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। গবেষকদের জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে ভ্যাকসিনটি ব্যাপকভাবে ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত মেপে তা দিতে হবে এবং তাঁরা এও ইঙ্গিত দিয়ে জানান যে পরীক্ষাটি সফল হলে এই টিকাটি সরাসরি ব্যবহার করা যেতে পারে।