For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

পঁচিশ বছর ধরে ফরাসি পেঁচার খোঁজে গুপ্তধন সন্ধানীরা

২৫ বছর আগে লেখা একটি বইতে এই গুপ্তধনের কিছু সূত্র দেয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই সেটা খুঁজে বেড়াচ্ছেন শত শত গুপ্তধন সন্ধানী।

  • By Bbc Bengali

ফ্রান্সের কোথাও ব্রোঞ্জের তৈরি একটি উড়ন্ত পেঁচার মূর্তি লুকানো আছে। যে এটিকে খুঁজে পাবেন, তিনি যে তখন সোনা ও রূপা দিয়ে তৈরি পেঁচার আসল ভাস্কর্যটি উপহার হিসাবে পাবেন তাই নয়, তিনি পাবেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান করা গুপ্তধনের খোঁজ।

কারণ এই গুপ্তধনটি খোঁজা হচ্ছে গত পঁচিশ বছর ধরে।

আসল পেঁচাটি তৈরি হয়েছে সোনা এবং রূপা দিয়ে, কিন্তু সেটিকে পেতে হলে ব্রোঞ্জের পেঁচাটিকে আগে খুঁজে বের করতে হবে।

এই গুপ্তধনের বিষয়ে প্রথম একটি বই প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। 'সোনালি পেঁচার খোজে' নামে ওই বইতে গুপ্তধনের বিষয়ে কিছু সূত্র দেয়া হয়েছে। এর কিছুদিন আগে বইটির লেখক ম্যাক্স ভ্যালেন্টিন ওই সোনার ভাস্কর্যটি ফ্রান্সের কোন এক স্থানে লুকিয়ে রাখেন।

সেই সময় ব্রিটেনের সবচেয়ে বিক্রি হওয়া বই ছিল 'ম্যাসকিউরেড'-যেখানে একটি সোনার খরগোশ খুঁজে বের করার বেশ কিছু জটিল ধাঁধা তৈরি করেছিলেন শিল্পী কিট উইলিয়ামস।

কিন্তু এ ধরণের সব ধাঁধার শেষপর্যন্ত রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। কিন্তু ফরাসি এই বইয়ে উল্লেখ করা পেঁচার রহস্য এখনো বের হয়নি। পঁচিশ বছর পরেও শত শত মানুষ সেই গুপ্তধন খুঁজে বেড়াচ্ছে।

এখন সেসব রহস্য নিয়ে ইন্টারনেটে বিশেষ ফোরাম তৈরি হয়েছে, যারা নিয়মিত আলোচনার বাইরেও প্রতিবছর বিশেষ সভায় মিলিত হন।

এমনকি ফ্রান্সের আদালতে গুপ্তধন অনুসন্ধানকারীদের স্বার্থ দেখভাল করার জন্য একটি সমিতিও তৈরি হয়েছে।

এটুকো নামের ওই সমিতির একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পিয়েরে ব্লোউচ বলছেন, ''১৯৯৩ সালের অগাস্ট মাস থেকে আমি এই গুপ্তধন খুঁজছি।''

অন্যদের মতো মি. ব্লোউচেরও এই গুপ্তধনের বিষয়ে নিজস্ব কিছু মতামত আছে। সেই ধারণা অনুযায়ী বোর্গেস শহরের আশেপাশের অনেক জায়গায় তিনি খোঁড়াখুঁড়িও করেছেন।

আরো পড়তে পারেন:

তুরস্কে কম খরচে বেড়ানোর আসল সময় এখন

'সূর্য অভিযানে’ রওনা হলো নাসার নভোযান

নিষেধাজ্ঞা উঠছে আশরাফুলের: দলে ফিরতে পারবেন?

কিট উইলিয়ামস সোনার খরগোশ নামের গুপ্তধন অনুসন্ধান ভিত্তিক একটি বই লিখেছিলেন, তবে তার রহস্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল
BBC
কিট উইলিয়ামস সোনার খরগোশ নামের গুপ্তধন অনুসন্ধান ভিত্তিক একটি বই লিখেছিলেন, তবে তার রহস্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল

অবসরপ্রাপ্ত এই প্রকৌশলী এখন অনলাইন সাহিত্য নিয়ে সময় কাটান। তিনি আশা করছেন, গুপ্তধন উদ্ধারে খুব তাড়াতাড়ি নতুন কোন ধারণা খুঁজে পাবেন।

তবে এই ধাঁধার রহস্য বের করতে হলে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, কল্পনাশক্তি আর কিছু সংকেত জানতে হবে।

বইয়ের ১১টি ধাঁধার ভেতর গুপ্তধনের আসল সন্ধান রয়েছে বলে মনে করা হয়। এই ধাঁধা অনুসরণ করে প্রথমে ফ্রান্সের একটি শহর সনাক্ত করতে হবে। আরো ১২টি ধাঁধার রহস্য উদ্ধার করে সেই শহরের ভেতর লুকানো গুপ্তধনটির স্থান সনাক্ত করা যাবে।

ইন্টারনেটে এ নিয়ে অনেক ধাঁধা এবং তার সম্ভাব্য সমাধান রয়েছে। সেগুলো নিয়ে অনেক তর্কবিতর্ক হচ্ছে, কিন্তু এখনো আসল গুপ্তধনের খোঁজ মেলেনি।

বইটি লেখার পর ভ্যালেন্টিন বেশ কিছুদিন একটি চ্যাট লাইন চালাতেন, যেখানে গুপ্তধন অনুসন্ধানকারীরা তাকে প্রশ্ন করতে পারতেন। এখন তার সেইসব উত্তর একত্রে ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে এবং সেগুলোকে এই গুপ্তধন খোঁজার একটি তথ্যাগার বলে মনে করা হচ্ছে।

পেঁচাটি কি কখনো খুঁজে পাওয়া যাবে?

মি. ভ্যালেন্টিন এখন আর এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য বেঁচে নেই। নয় বছর আগে তিনি মারা যান। তবে তার গুপ্তধনের রহস্য একটি চিঠিতে লিখে মুখবন্ধ খামের ভেতর রেখে গেছেন, যা এখন তার পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।

এই রহস্যের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছেন শিল্পী মিচেল বেকার, যিনি বইয়ের ভেতরের অঙ্কন এবং পেঁচাটির ভাস্কর্য তৈরি করেছেন।

লুকিয়ে রাখা ব্রোঞ্জের পেঁচাটি সত্যিকারের সোনার পেঁচার একটি নকল। আসল পেঁচাটি রয়েছে মি. বেকারের হেফাজতে। চার বছর আগে তিনি সেটি বিক্রি করার চেষ্টা করলে গুপ্তধন অনুসন্ধানকারীদের বাধার মুখে পড়েন। আদালত সেই বিক্রি নিষিদ্ধ করে আদেশ দেন, তিনি এটি বিক্রি করতে পারবেন না, কারণ এটি ভবিষ্যতের গুপ্তধন বিজয়ীর প্রাপ্য।

যদিও বইটি লেখা ও সাজাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন মিচেল বেকার, কিন্তু তিনি নিজেও জানেন না, ব্রোঞ্জের পেঁচাটি কোথায় লুকানো রয়েছে।

সুতরাং, এখন জীবিত এমন কেউ নেই, যিনি জানেন কোথায় রয়েছে সেই উড়ন্ত পেঁচা।

অনেকে আশঙ্কা করতে শুরু করেছেন, এই গুপ্তধনের সন্ধান আর কখনোই পাওয়া যাবে না। কারণ ওই স্থানটির ওপর হয়তো কোন কিছু তৈরি হয়েছে। অথবা এসব সূত্র সমাধানের যোগ্য নয়। হয়তো প্রথম থেকেই এটি একটি মজা ছিল।

তবে সত্যিকারের অনুসন্ধানকারীরা ভ্যালেন্টিনের কাছ থেকে এখনো আসল প্রেরণা গ্রহণ করেন। কারণ তিনি বলেছিলেন, ''যদি সকল অনুসন্ধানকারী তাদের সব জ্ঞান একত্র করেন,.... তাহলে পেঁচাটিকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যাবে।''

English summary
For 25 years the treasure hunter seeks the French owl
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X