কক্সবাজারের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়লো শতাধিক ঘর
কক্সবাজারের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়লো শতাধিক ঘর
বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে মোচনী ক্যাম্পে আগুনে শতাধিক বসত ঘর পুড়ে গেছে।
টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মুকুল নাথ বিবিসি বাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগুনের তীব্রতা বেশ ভয়াবহ ছিল। তবে বড় কোন ক্ষয়ক্ষতির আগেই তারা সেটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন।
টেকনাফ থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলিম জানান, স্থানীয় সময় বুধবার রাত দুইটা বিশ-পঁচিশ মিনিটের সময় আগুন লাগে। আর ভোর সাড়ে চারটার দিকে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে আগুনে কোন হতাহত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
"একটা ঘরে যখন আগুন লেগেছে, তখন অন্যরা সবাই সেফলি [নিরাপদভাবে] বের হয়ে গেছে।"
আরো পড়ুন:
- রোহিঙ্গা ক্যাম্প: রাতের আঁধারে নিয়ন্ত্রণ করে কারা
- কক্সবাজারে মানুষজনের মনে চাপা ক্ষোভ
- রোহিঙ্গারা আসার পর যেভাবে বদলে গেলো বিস্তীর্ণ ভূ-দৃশ্য
তিনি বলেন, আগুনে ২৬ নম্বর মোচনী শরণার্থী শিবিরের ই-ব্লক পুরোপুরি পুড়ে গেছে। এই ব্লকে প্রায় ১২০টির মতো ঘর ছিল।
এসব ঘরে এক হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করতো বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। এরা সবাই রোহিঙ্গা শরণার্থী।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মি. নাথ বলেন, "শরণার্থী শিবিরের ঘরগুলো একটা আরেকটার গায়ে লেগে থাকার কারণে সহজেই এক ঘর থেকে আরেক ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।"
এই ঘরগুলো টিন, বাঁশের বেড়া আর প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ছিল।
গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে স্থানীয়রা বলছেন। ফায়ার সার্ভিস বলছে, সিগারেট কিংবা কয়েলের আগুন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তারা ধারণা করছে।
তবে আগুনের এ বিষয়ে তদন্তের আগে নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলেও জানান মি. নাথ।
"এতো রাতে কারো গ্যাস সিলিন্ডার জ্বালানোর কথা না," বলেন তিনি।
বিবিসি বাংলার আরো খবর:
ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় 'উস্কানি' দেয়ায় আবারো অভিশংসিত ট্রাম্প
ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি দিতে 'প্রশাসনের কড়াকড়ির' অভিযোগ
কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না, দায় কার?