রাতের আকাশে ধেয়ে আসছে আগুনের গোলা, সঙ্গে বিকট শব্দ! শহর জুড়ে ভয়ঙ্কর আতঙ্ক
রবিবার রাতে হঠাত করেই নরওয়ের আকাশে এক উজ্জ্বল আলোক বস্তুর দেখা মেলে। শোনা যায় এক অদ্ভুদ আওয়াজও। আকাশের একপাশ থেকে আরেক পাশে যেন গড়িয়ে যাচ্ছে আলোর বল।
রবিবার রাতে হঠাত করেই নরওয়ের আকাশে এক উজ্জ্বল আলোক বস্তুর দেখা মেলে। শোনা যায় এক অদ্ভুদ আওয়াজও। আকাশের একপাশ থেকে আরেক পাশে যেন গড়িয়ে যাচ্ছে আলোর বল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারত এটি। কপাল জোড়ে রক্ষা পেয়েছে মানুষজন।
রাত একটা নাগাদ এই দৃশ্য দেখা যায়
অনুমান করা হচ্ছে, নরওয়ের রাজধানীর অশলোর অদুরেই আছড়ে পড়তে পারত বৃহৎ সেই উল্কা। রাত একটা নাগাদ এই দৃশ্য দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আচমকা রাতের আকাশে এমন আলোর চমক দেখে চমকে যান অনেকে! শুধু আলো নয়, সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দও শোনা যায়! রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে যায় লোকজন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও
ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন অনেকেই। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও! এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকে শব্দ এবং আলোর ঝলকানি রহস্য ভেদ করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
গতিবেগ ছিল ১৫ থেকে ২০ কিমি প্রতি সেকেন্ড
তাঁরা ওই ভিডিও দেখে দাবি করেছেন, সম্ভবত অশলো থেকে ৬০ কিমি দূরে ছিটকে পড়েছে বৃহৎ ওই উল্কা। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আছড়ে পড়ার সময় ওই উল্কাটির গতিবেগ ছিল ১৫ থেকে ২০ কিমি প্রতি সেকেন্ড। পাঁচ থেকে ছয় সেকেন্ডের জন্যে মহাকাশে স্থায়ী হয় ওই আলো।
আলো কমতে শুরু করেছে
যেহেতু এই অঞ্চলে দিনের আলো কমতে শুরু করেছে তাই আকাশ ছিল একেবারে অন্ধকার। ফলে আলোর ঝলকানি আরও স্পষ্ট হয়ে যায়
এই অংশকেই উল্কাবৃত্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়
এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মাঝামাঝি জায়গা থেকে ছুটে আসছিল এই উল্কা। এই অংশকেই উল্কাবৃত্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। এই দৃশ্য দেখে অনেকে ভয় পেয়ে যান আবার অনেকেই অলৌকিক কোনও ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করেন। মহাকাশ গবেষকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত এই ধরনের উল্কাপিণ্ড মহাকাশ থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে এসে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর পুড়ে শেষ হয়ে যায়। তাতে আগুন ধরে যায়। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আর রাতের আকাশে সেটিকে জলন্ত পিন্ডের মতো দেখিয়েছে।