নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে বিক্ষোভ, বিক্ষোভকারীদের বহিষ্কৃত করতে পারে কুয়েত
ইসলামের হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গোটা বিশ্বে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক-অশান্তি। রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছে অসংখ্য মানুষ। সূত্রের খবর, গত ১০ জুন কুয়েতে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতীয় এবং বেশ কিছু মুসলিম প্রবাসীরা একটি বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়। এই বিক্ষোভ চলাকালীন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি পয়গম্বর মহম্মদের সমর্থনে স্লোগান পর্যন্ত দেয় তারা। শুক্রবার পাহাহিল বিক্ষোভের অংশের সমস্ত প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, কুয়েত সরকারের আইন অনুযায়ী দেশের ভিতরে প্রবাসীদের বিক্ষোভ কিংবা আন্দোলন করা অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং সেই কারণে বিক্ষোভকারীদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার ভারতীয় সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা পয়গম্বর ইস্যুতে নূপুর শর্মার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানোর জন্য কুয়েতের পাহাহিল এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। তবে এহেন আন্দোলন কিংবা বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি না থাকায় শেষ পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করা হয়। গোটা দেশজুড়ে প্রবাসীদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে। সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, কুয়েতের সব প্রবাসীদের কুয়েত আইনকে সম্মান দেওয়া বাধ্যতামূলক এবং কোনও বিক্ষোভ-প্রতিবাদে অংশ নেওয়া উচিত নয়।'
সূত্রের খবর, বর্তমানে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাদের ভিসা বাতিল করতে চলেছে সরকার এবং তাদের নির্বাসন কেন্দ্রে পর্যন্ত পাঠানো হতে পারে। এমনকী, বিক্ষোভকারীদের আজীবন নির্বাসিত করতে পারে কুয়েত সরকার।
প্রসঙ্গত, বিজেপির নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গোটা ভারত জুড়ে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। উত্তরপ্রদেশে অনেক জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হয়ে গিয়েছে, অশান্তি দেখা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। যার জেরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয় এবং নূপুর শর্মা নিজেও সকলের কাছে ক্ষমা চান। তবে এরপরেও ইরান, ইরাক ও কুয়েতের মতো দেশগুলো ভারতের ওপর এই সংক্রান্ত বিষয়ে চাপ বাড়িয়ে চলে। এমনকি ভারত বয়কটের ডাক পর্যন্ত দেওয়া হয়।