ভারতের নেতৃত্বেই করোনা আতঙ্ক কাটছে দক্ষিণ এশিয়ায়, মত ইউরোপীয় গবেষকরা
করোনা আবহে যখন দোষারোপে ব্যস্ত দেশগুলি, তখনই সহানুভূতির নজির গড়ে বিশ্বের ১০৮টি দেশে স্বাস্থ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে ভারত। আর এর জেরেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে করোনা-যুদ্ধে দিশা দেখাচ্ছে ভারত, এমনটাই মনে করছেন ইউরোপীয় গবেষকরা।
দক্ষিণ এশিয়ায় কিছুটা হলেও থমকে করোনা
ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিস (ইএফএসএএস)-এর শুক্রবারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবথেকে তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী উড়ান বন্ধ করা, বিদেশফেরত যাত্রীদের যথাযথ পরীক্ষা, পরীক্ষায় করোনা পজেটিভদের তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা ও বাকিদের গৃহবন্দি করার মত পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় করোনাকে বাড়তে দেয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকা ও ইউরোপের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি রয়েছে অনেকটাই ভালো পরিস্থিতিতে।
ভারতের পদক্ষেপ প্রশংসা কুড়িয়েছে
ইএফএসএএস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, চীন যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিতে স্বাস্থ্যসামগ্রী ও ওষুধ পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পুনরায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে, সেখানে ভারত মানবিকতার খাতিরে প্রায় ১০৮টি দেশকে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন ও ৫০০ মিলিয়ন প্যারাসিটামল দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।
চিন প্রশাসনকে তুলোধনা ইএফএসএএস-এর রিপোর্টে
চিনের উওহানের একটি বাজার থেকে করোনা ছড়ায় বলে এখনও পর্যন্ত খবর। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনও পর্যন্ত রিপোর্টে জানা যায়, বিশ্বে আক্রান্ত প্রায় ২২,১৪,৮৬১ ও মৃত ১,৫০,৯৪৮ জন। ইউরোপীয় গবেষকদের মতে, চিনেই যে এসএআরএস-সিওভি-২ -এর উৎপত্তি, সে ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই, তাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএনএসসি-র মত সংস্থায় করোনা নিয়ে আলোচনা দীর্ঘ সময় যাবৎ বন্ধ ছিল চিনের মদতে। ফলত হু-এর মত গাফিলতি যদি দক্ষিণ এশিয়ার কোনো একটি দেশও করে, তাহলে অবস্থার অবনতি শুধু সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা রোধ করতে পারে ভারত
ইএফএসএএস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহ ভারত সহ অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কাছে চরম গুরুত্বপূর্ণ। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে এর পূর্বে ভারত যেভাবে করোনা রোধ করে এসেছে, সেই একই পদ্ধতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি অবলম্বন করলে অন্তত করোনায় মৃতের সংখ্যা চীন, আমেরিকা, স্পেন বা ইতালির মত হবে না।