টুইটার না কিনে বিপাকে মাস্ক, আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে মাইক্রো ব্লগিং সাইট
তিনি টুইটার কিনলেন আবার তিনি হঠাৎ করেই বলেন টুইটার তিনি আর কিনবেন না। ইতিমধ্যে তিনি চুক্তি করে ফেলেছিলেন। আর এর জন্যই সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন এলন মাস্ক। যখনই তিনি টুইটার কিনবেন না বলেন তখনই টুইটারের পক্ষে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এবার সেটা সত্যি করল কর্তৃপক্ষ। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ককে আদালতে নিয়ে গেলেন তাঁরা।
টুইটারের দাবী
মাইক্রোব্লগিং
সাইটের
স্পষ্ট
এমন
খুব
সহজ
দাবি,
নিজের
ইচ্ছা
মতো
প্রায়
চুক্তি
ভেঙে
দিতে
পারবেন
না
মাস্ক।
৪৪০০
কোটি
ডলারের
চুক্তি
করেছিলেন
টেসলা
প্রধান।
সেটা
তাঁর
হঠাৎ
মনে
হল
বলে
খেয়াল
খুশি
মতো
ভেঙে
দিতে
পারেন
না
এবার
তাঁদের
দাবি
এটাই
যে
চুক্তির
মাস্ককে
৫৪.২০
ডলার
দরে
টুইটারের
শেয়ার
কিনতে
হবে
শর্ত
মেনে
।
সমস্যা কোথায় ?
গত শুক্রবার দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এলন মাস্ক নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়ে বলেছিলেন। হঠাৎ করে বলে বসেন ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কিনবেন না কারণ তাঁর দাবি ছিল টুইটার হস্তান্তরের আগে সংস্থাকে এলন মাস্ক বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিলেন। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট এর পাশাপাশি স্প্যাম সংক্রান্ত সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য তিনি চেয়েছিলেন টুইটারের থেকে। এখন তিনি বলছেন যে, যেসব শর্ত তিনি রেখেছিলেন সে সব পূরণ করেনি টুইটার। আর তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি টুইটার কিনবেন না। এলন মাস্কের এই কথা বলা মাত্রই চটে গিয়েছিল সংস্থা। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে মার্কিন ধনকুবেরের বিরুদ্ধে তাঁরা আইনি পথে হাঁটবেন। যেমন বলা তেমনই কাজ। আজ টুইটার আদালতে তাঁদের নিজেদের দাবি পেশ করেছে।
টুইটার পক্ষের আইনজীবী কী বলেছে ?
টুইটার পক্ষের আইনজীবী বলেছেন, , "মাস্ক যে চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন, তা থেকে নিজের ইচ্ছামতো বেরিয়ে আসতে চাইছেন তিনি। পুরোটাই তাঁর যা ইচ্ছে হচ্ছে তিনি তাই করতে চাইছেন। কিন্তু সংস্থার সঙ্গে যে চুক্তির হয়েছিল সেটা তা বলে না। তিনি বিধি ভঙ্গ করছেন।" এর পালটা দিয়েছেন মাস্ক। তিনি লিখেছেন যে, "অন দ্য আইরনি, এলওএল।" তাঁর কাছে পুরো বিষয়টাই হাস্যকর মনে হয়েছে। তাঁরও সোজা কথা টুইটার শর্তপূরণ করেনি, তাই তিনিও সংস্থা কিনবেন না।
টুইটার কেনার প্রস্তাব
এপ্রিল মাসে এমন মাস্ক টুইটার কেনার প্রস্তাব দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। এর কয়েকদিন আগেই টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে তাদের ৯.২ শতাংশ শেয়ার ইলন মাস্ক কিনেছেন। তিনিই টুইটারের সব থেকে বড় শেয়ার হোল্ডার হয়ে ওঠেন। কিন্তু ইলন মাস্কের ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে টুইটার কেনার প্রস্তাব প্রথমে মোটেই ভালোভাবে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে পরে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। টুইটার বিক্রির জন্য একটি চুক্তি হয়। টুইটার বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার সময়েই থেকেই একাধিক খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। যা টুইটারের কর্মীদের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করে