ভারতের সহনশীলতা দেখানো বন্ধ করা উচিত, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া নেদারল্যান্ডের সাংসদের
ভারতের সহনশীলতা দেখানো বন্ধ করা উচিত, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া নেদারল্যান্ডের সাংসদের
উদয়পুরে হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখালেন গির্ট ওয়াইল্ডার্স। তিনি জানান, এবার অসহনশীলতার বিরুদ্ধে ভারতকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। ভারতে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভারতকে হিন্দুদের দেশ বলে উল্লেখ করেন ওয়াল্ডার্স।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের রক্ষা করুন
নেদারল্যান্ডের সাংসদ গির্ট ওয়াইল্ডার্স সন্ত্রাসবাদ, কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের রক্ষা করার আবেদন করেন। তিনি ভারতকে হিন্দুদের দেশ বলেও উল্লেখ করেন। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করে ওয়াইল্ডার্স মঙ্গলবার একাধিক টুইট করেন। তিনি লেখেন, 'ভারতের বন্ধু হিসেবে বলছি, অসহিষ্ণুদের প্রতি সহনশীলতা দেখানো এবার বন্ধ করুন। কট্টরপন্থী, সন্ত্রাবাসী ও জিহাদিদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের রক্ষা করুন। ইসলামকে তুষ্ট করা বন্ধ করুন। না হলে এর চরম মূল্য দিতে হবে। ভারতে হিন্দুদের এমন একজন নেতা প্রয়োজন, যিনি তাঁদের রক্ষা করতে পারবেন।' পরের টুইটে তিনি লেখেন, 'হিন্দুদের ভারতে নিরাপত্তা থাকা উচিত। এটা তাঁদের দেশ, তাঁদের মাতৃভূমি। ভারত কোনও মুসলিম দেশ নয়।' নেদারল্যান্ডের এই সাংসদ অতি ডানপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত।
উদয়পুরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার
উদয়পুরে কানহাইয়া লালকে শিরোশ্ছেদের ঘটনায় রিয়াজ আখতারি ও ঘৌস মহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূ্ত্রের খবর আখতারি একটি মসজিদে কাজ করে। অন্য হামলাকারীর একটি মুদির দোকান রয়েছে। অভিযোগ, রিয়াজ আখতারি ও ঘৌস মহম্মদ নামের দুই ব্যক্তি কানহাইয়া লালের দর্জির দোকানে খরিদ্দার সেজে ঢুকেছিল। পোশাকের মাপ নেওয়ার সময় আখতারি কানহাইয়া লালের ওপর আক্রমণ করে। তার গলা প্রায় কেটে নেয়। সেই সময় সম্পূর্ণ ঘটনার ভিডিও করে অপর অভিযুক্ত ঘৌস মহম্মদ। কানহাইয়া লালকে খুন করে তারা পালিয়ে যায়। গোটা ঘটনার ভিডিও তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে। অন্য একটি ভিডিওতে অভিযুক্তরা স্বীকার করে, তারাই ওই দর্জির শিরোশ্ছেদ করেছে। তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও হুমকি দেয়। অভিযুক্তরা ভিডিওতে মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের এই ধরনের হামলা চালানোর আবেদন করে।
রাজস্থান জুড়ে কারফিউ জারি
খুনের ঘটনায় উদয়পুরের ধানমান্ডি থানার এএসআইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রাজস্থান জুড়ে একমাসের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। কানহাইয়া লালের হত্যার ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলেট রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকার আবেদন করেছেন। উসকানিমূলক কোনও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার না করার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, কোনওভাবেই হত্যাকারীদের রেহাই দেওয়া হবে না। পাশাপাশি তিনি মনে করছেন, বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়া প্রয়োজন।