পাকিস্তান বেসামাল প্রাকৃতিক দুর্যোগে, তুষার-বৃষ্টিতে নতুন বছরেই প্রাণ খোয়ালেন ৪২
পাকিস্তান বেসামাল প্রাকৃতিক দুর্যোগে, তুষার-বৃষ্টিতে নতুন বছরেই প্রাণ খোয়ালেন ৪২
একদিকে তুষারপাত, কনকনে ঠান্ডা। অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টিপাত। একের পর এক প্রাকৃতিুক দুর্যোগ হানা দিচ্ছে পাক-ভূমে। ২৪ ঘণ্টা আগেই তুষারে আটকে গাড়ি বোঝাই ২২ জনের মৃত্যু বয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন বছরে পাকিস্টানে তুষারপাত ও অবিরাম বৃষ্টির জেরে ৪২ জনের মৃত্যু হয়ে বলে জানা গিয়েছে। নতুন বছরের মাত্র ৯ দিনের মধ্যেই দুর্যোগ কেড়েছে বহু মানুষের প্রাণ।
২০২১-কে বিদায় দিয়ে ২০২২ সালের শুভ যাত্রা সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু ২০২২-এর যাত্রা শুভ হল না, অশুভ হয়ে রইল পাকিস্তানের কাছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি হলেন ৪২ জন। এর মধ্যে শনিবার তুষারপাত দেখতে গিয়ে আটকে পড়েন পর্যটকরা। গাড়ির উপর তুষার পড়ে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। রবিবার সকালে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ২২।
একইসঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানে। নিখোঁজ হয়েছেন বহু। সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার থেকে পাকিস্তানের উত্তর প্রান্তে পর্বত চূড়ায় অবস্থিত শহর মুরিতে তুষারপাতের কারণে গাড়িতে আটকে পড়েন অনেকেই। পর্যটকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ফলে রাস্তায় তৈরি হয় যানজট।
লাথামের অধিনায়কোচিত ইনিংসে ক্রাইস্টচার্চে চালকের আসনে নিউজিল্যান্ড, টেস্টে অনন্য নজির কনওয়ের
এই প্রবল তুষারপাতের কারণে গাড়ি আটকে যায় রাস্তায়। তা আর সরানো যায়নি। গাড়ির ভিতরে আটকে পড়েন পর্যটকরা। ঠান্ডায় গাড়িতে আকতে ২২ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। স্থানীয়রা গাড়িতে আটকে থাকা পর্যটকদের কম্বল ও খাবারও তুলে দেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
পাকিস্তানের পাখতুনখোয়া প্রদেশের অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানে চলছে তুষারপাত, কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও বালুচিস্তান প্রদেশেও প্রবল বর্ষণ চলছে। সেখান থেকে ইতিমধ্যেই ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতর থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, রবিবার পর্যন্ত তুষারপাত ও বৃষ্টি চৃলবে। যার ফলে পাহাড়ি এলাকায় হড়পা বান ও মেঘভাঙা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সরকার জরুরিভিত্তিতে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সমস্তরকম পরিস্থিতিতের মোকাবিলায় তৈরি থাকতে বলা হয়েছে সেনা ও জওয়ানদের। পাকিস্তানের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে দেশবাসীকে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করা। তবে সোমবারের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।