বেকায়দায় ট্রাম্প! ক্যাপিটল হিলে 'বিদ্রোহে'র পর প্রেসিডেন্টের সঙ্গ ছাড়ছেন আস্থাভাজনরাও
হিংসার আবহে শেষ হল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটের আনুষ্ঠানিকতা পর্ব৷ আজ ইলেক্টোরাল কলেজের ফলাফলে সিলমোহর দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন জো বাইডেন। এদিকে এই আবহে ট্রাম্পের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না তাঁর ক্যাবিনেট সদস্যরাও। যা পরিস্থিতি তাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরানো হতে পারে ট্রাম্পকে।
ট্রাম্পের সমর্থকরা আমেরিকার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালায়
অনুমোদনের ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা আমেরিকার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালায়। তবে জয়ের লক্ষে বাইডেনের প্রয়োজনীয় ইলেক্টেরাল ভোট গণনা তাতেও থামানো যায়নি। কট্টরপন্থি রিপাবলিকান সমর্থকদের সমস্ত প্রচেষ্টাকে পরাজিত করে অনুমোদন ঘোষণা করা হয়। এর পরেই সেনেট এবং হাউজ অফ রিপ্রেসেন্টেটিভসের সদস্যরা জয়ের আনন্দে চিৎকার করে ওঠেন।
হামলার প্রতিবাদে পরপর পদত্যাগ
এদিকে হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গ ছাড়েন হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউস। এছাড়াও মার্কিন পরিবহণ সেক্রেটারি, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সেক্রেটারি, শিক্ষা বিষয়ক সেক্রেটারি নিজেদের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনার পর ওয়াশিংটন ডিসির একাধিক পুলিশ অফিসার এমনকি ক্যাপিটল পুলিশের প্রধানও পদত্যাগ করেছেন।
ট্রাম্পের অফিসে বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ
ট্রাম্পের অফিসে বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ। এরই মধ্যে ক্যাপিটল হাউজে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পকেই দায়ী করে হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির সমস্ত ডেমোক্র্যাটস ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে একটি চিঠিতে লিখেছেন, 'নির্বাচনের ফলাফলকে জোর করে উল্টে দেওয়ার জন্য হিংসা এবং সামাজিক অশান্তিতে মদত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মান আরও স্পষ্ট করেছে।'
ঘটনার নিন্দায় সরব বিশ্বের তাবড় নেতারা
এদিকে ক্যাপিটল হিলে এই বেনজির হামলার ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির অনেকেই। এছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।