কিম কার্দাশিয়ানের আবেদন ফেলতে পারলেন না ট্রাম্প! মানলেন না উপদেষ্টাদের নিষেধও
অ্যালিস মেরি জনসন নামের টেনেসির এক মহিলা ড্রাগ সংক্রান্ত অহিংস অপরাধের জন্য ২১ বছর জেল খেটেছেন। কিম কার্দাশিয়ানের আবাদনে তাকে ক্ষমা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২১ বছর ধরে কারাগারে ছিলেন আমেরিকার টেনেসি প্রদেশের এক মহিলা। ড্রাগ সংক্রান্ত অহিংস অপরাধের জন্য তার যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা হয়েছিল। কিম কার্দাশিয়ান ওয়েস্টের আবেদনে তাঁর বাকি সাজা মকুব করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে কারাগারে ওই মহিলার আচরণ খুবই ভাল ছিল।
মহিলার নাম অ্যালিস মেরি জনসন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার অপরাধ করতে গিয়েই ধরা পড়েন। তবে কারাগারে তাঁর মধ্যে আশ্চর্য পরিবর্তন আসে। শুধু নিজেকেই শোধরাননি অ্যালিস সহবন্দীদের উপরেও তার সুপ্রভাব পড়েছিল। কিম কার্দাশিয়ান খবরের কাগজে তার কথা জানেন। গত ৩০ মে তিনি হোয়াইট হাউসে এসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে অ্যালিসের সাজা মকুব করার আর্জি জানিয়েছিলেন।
বুধবার, হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে অ্যালিসকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'প্রশাসন সবসময়ই অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর। কিন্তু সেই সঙ্গে প্রশাসন এও মনে করে, যারা সমাজে অবদান রেখেছে এবং নিজেদের ভাল করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে, তাদের দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া উচিত। মিসেস জনসন তার অতীত আচরণের দায় স্বীকার করেছেন এবং গত দুই দশক ধরে অন্যান্য বন্দীদের সামনে আদর্শ হয়ে উঠেছিলেন।'
জানা গিয়েছে, কিম কার্দাশিয়ানের সঙ্গে সঙ্গে অ্যালিসের ওয়ার্ডেন, কেস ম্যানেজার এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সট্রাক্টরও তাকে ক্ষমা করার সমর্থনে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও বাধা ছিল। ট্রাম্পের দুই অন্যতম উপদেষ্টা চিফ অব স্টাফ জন কেলি এবং হোয়াইট হাউস কাউল্সেল ডোনাল্ড ম্যাকগান মামলাটি খতিয়ে দেখে অ্যালিসকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করার কথাই বলেছিলেন। কিন্তু স্বয়ং ট্রাম্প তাকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানান।
এই খবর পেয়ে স্বভাবতই দারুন খুশি কিম কার্দাশিয়ান ওয়েস্ট। টুইট করে টিভি এই রিয়েলিটি টিভি স্টার বলেন, 'সেরা খবর!' অ্যালিস জনসন ও তার পরিবারও কার্দাশিয়ানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। কার্দাশিয়ান এবং তার আইনি দলের আশা অ্যালিস জনসনের এই মামলা জেল আইনের সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা তুলবে।