পুলিশি অভিযানে নিহত গুলশন হামলার মাস্টারমাইন্ড প্রবাসী বাংলাদেশি জঙ্গি সহ ৩
ঢাকা, ২৭ অগাস্ট : ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল বাংলাদেশ পুলিশ। এই অভিযানে গুলশনের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানোর মাস্টারমাইন্ড কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী সহ তিনজনকে এনকাউন্টারে নিহত করা সম্ভব হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। [নতুন ভিডিওতে বাংলাদেশে হামলার হুমকি দেওয়া তিন যুবকের পরিচয় কী? জেনে নিন]
এবার এক ক্লিকেই পেয়ে যান আপনার গাড়ির জন্য 'রিলায়েন্স' ইনস্যুরেন্স
নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় একটি বাড়িতে জঙ্গিরা রয়েছে বলে খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেইমতো এদিন সকালে বাড়িটি ঘিরে ফেলে অভিযান চালায় সন্ত্রাসদমন শাখার অফিসাররা। পুলিশ গুলি ছুঁড়তে শুরু করলে জঙ্গিরাও পাল্টা গ্রেনেড হামলা চালায়। তাতেই তিন জঙ্গি মারা গিয়েছে। [বাংলাদেশ থেকে নিখোঁজ হাজারের বেশি যুবক? এদেরকেই জঙ্গি হামলায় কাজে লাগানো হচ্ছে না তো?]
এই কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরীই গুলশন হামলার মূলচক্রী ছিল বলে বেশকিছুদিন ধরেই দাবি করে আসছিল পুলিশ। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। গুলশন হামলার পরে দেশের নানা জায়গায় জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাস দমনে কড়া পদক্ষেপের কথা জানান তিনি। [জঙ্গি হামলার চেয়েও এই বিষয়টি বেশি ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে]
জঙ্গিবাদের সঙ্গে বাংলাদেশ কনওরকম আপোস করবে না বলেই হুঁশিয়ার করেছিলেন শেখ হাসিনা। এরপরই দেশজুড়ে জঙ্গিদমনে নামে সেদেশের পুলিশ। হাজারে হাজারে জঙ্গি বা সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে কল্যাণপুরে এভাবেই জঙ্গিদমন অভিযান চালিয়ে ৯ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। এবার আরও বড় সাফল্য হাতে এল বাংলাদেশি পুলিশের। [গুলশনের রেস্তরাঁয় জঙ্গি হামলার সময়ে তোলা কম্যান্ডো অভিযানের ভিডিও]
জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পরে তামিম নামে ওই জঙ্গি বাংলাদেশেই ছিল। তার নির্দেশেই জঙ্গিরা হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায়। এদিন ভোর থেকে বাড়িটির উপরে নজর রাখার পরে সকাল সাড়ে ৯টার পরে অভিযান চালায় পুলিশ।