ভূতকে জলের বিল মিটিয়ে দিতে নির্দেশ, নইলে গ্রেফতার!
ভাবছেন, এ কী আবোল-তাবোল রে বাবা! মোটেই নয়। তা হলে শুনুন গোটা ঘটনা।
ফতিমা জিন্না। 'পাকিস্তানের জনক' মহম্মদ আলি জিন্নার বোন। ১৯৬৭ সালে এন্তেকাল হয় তাঁর। আজ ৪৭ বছর পর তাঁকে জলের বিল বাবদ ২,৬৩,৭৭৪ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছে করাচি ওয়াটার অ্যান্ড সিউয়ারেজ বোর্ড! পাকিস্তান জুড়ে আলোড়ন উঠেছে এই খবরে।
ফতিমা জিন্না এতদিন বিল মেটাননি, এটা হঠাৎ চোখে পড়ে চলতি বছরের এপ্রিলে। পুরনো রেকর্ড ঘাঁটতে ঘাঁটতে। ২৮ মে পর্যন্ত শহরবাসীকে বিল মিটিয়ে দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট দফতর ভেবেছিল, ফতিমা জিন্নাও আসবেন বুঝি বিল দিতে। কিন্তু মরা মানুষ কি আর আসে? উনিও আসেননি। তার পরই কর্তারা দীর্ঘ নোটিশ পাঠান আরএ ২৪১, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ঠিকানায়। মজার ব্যাপার হল, ওই ঠিকানায় এখন গড়ে উঠেছে মিউজিয়াম! ১৯৪৪ সালের মার্চে, মানে যখনও পাকিস্তানের জন্ম হয়নি, তখন মহম্মদ আলি জিন্না এক লক্ষ টাকার কিছু বেশি দামে এখানে একটি বাড়ি কেনেন। ১৯৪৮ সাল থেকে এখানে থাকতে শুরু করেন ফতিমা। ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এখানে ছিলেন। পরে ১৯৬৭ সালে তিনি দেহ রাখেন।
সরকারি নোটিশে বলা হয়েছে, ১০ দিনের ভিতর বকেয়া টাকা না মেটালে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে। তার পর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা নিলাম করে বকেয়া টাকা আদায় করা হবে। এমনকী, খেলাপিকে গ্রেফতার করে হাজতেও পাঠানো হবে। মানে ভূত ধরতে বেরোবে পুলিশ!
করাচি ওয়াটার অ্যান্ড সিউয়ারেজ বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সাফাই, কী করে বুঝব এই ফতিমা জিন্না 'জাতির জনক' মহম্মদ জিন্নারই বোন! কিন্তু ঠিকানা দেখেও কি বুঝতে পারেননি? এ বার তিনি নিরুত্তর। শুধু বলেছেন, এই নোটিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।