কোভিড: ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া শনাক্ত ব্যক্তির যে সংখ্যা পাওয়া গেছে তা আগের দিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
বাংলাদেশে গত ২৮ ঘণ্টায় যতগুলো নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে ৬৯৮ জন। যা এর আগের দিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
আগের দিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩৬৩। মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে ২৫ থেকে ৩২ জন।
যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও দ্বিগুণের মত বেড়েছে। ঈদের ছুটির কয়েকদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কম ছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৩৪৭টি। তার আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয় এর অর্ধেকের মত।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশে ৫ই এপ্রিল থেকে একটানা নানা ধরনের বিধিনিষেধ বহাল রয়েছে।
কিন্তু ঈদের আগে শপিংমলে ভিড় এবং ঈদের আগমুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে ঢাকা ছেড়ে যেভাবে মানুষজন নিজের জেলায় ফিরেছেন তাতে নতুন করে আবারো আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছিল।
দূরপাল্লার গণপরিবহন এখনো বন্ধ থাকায় ঈদের পরেও একইভাবে মানুষজনকে ঢাকায় ফিরতে দেখা যাচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর:
বাংলাদেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের তীব্রতার পেছনে কারণ যা বলা হচ্ছে
করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি আসলে ঠিক কী?
কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ই মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর টানা শীতের মৌসুমের আগ পর্যন্ত উচ্চ হারে সংক্রমণ ছিল।
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচেও নেমেছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকা মানে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কিন্তু এ বছরের মার্চ মাস থেকে আবারো বাংলাদেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকে এবং গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণের হার নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে ৫ শতাংশের বেশি থাকছে।
বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল এই বছর। এপ্রিলের ১৯ তারিখ একদিনে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল যা গত বছরের রেকর্ডের তুলনায় দ্বিগুণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী বাংলাদেশে এপর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৮০ হাজারের কিছু বেশি। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১৮১ জনে।