অভাবনীয় সাড়া মিলছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে! করোনা ভয় কাটিয়ে আবারও হাসতে চলেছে বিশ্ববাসী?
অভাবনীয় সাড়া মিলছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে! করোনা ভয় কাটিয়ে আবারও হাসতে চলেছে বিশ্ববাসী ?
করোনার থাবায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই গোটা পৃথিবীতে ১ কোটি ৩৭ লক্ষেরও বেশি মানুষের শরীরে থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতী করোনা। মারা গেছেন ৬ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ। এই সঙ্কটকালীন অবস্থায় চাতক পাখির মতো ভ্যাকসিনের আশায় দিন গুনছ বিশ্বব্যাপী। এমতাবস্থায় ক্রমেই মানুষের মনে নতুন আশা দেখাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষকদের দাবি তাদের তৈরি ভ্যাকসিনে আগের থেকে দ্বিগুন ভাল ফল মিলতে শুরু করেছে।
তৃতীয় পর্যায়ের রিকভারি ট্রায়ালে নতুন আশা দেখাচ্ছে অক্সফোর্ড
ব্রিটিশ-সুইডিশ
বায়োটেকনোলজি
ফার্ম
অ্যাস্ট্রজেনেকার
সঙ্গে
যৌথ
প্রয়াসে
ডিএনএ
ভেক্টর
ভ্যাকসিন
বানিয়েছে
অক্সফোর্ডের
ভাইরোলজিস্ট
সারা
গিলবার্টের
টিম।
এদিকে
এই
ভ্যাকসিনের
প্রথম
দুই
পর্যায়ের
ট্রায়াল
রিপোর্ট
ভাল
বলেই
দাবি
করেছিল
অক্সফোর্ড।
চলছিল
চূড়ান্ত
পর্যায়ের
গবেষণা।
সূত্রের
খবর,
অক্সফোর্ড
ও
অ্যাস্ট্রজেনেকার
তৃতীয়
পর্যায়ের
রিকভারি
ট্রায়ালে
নাকি
নতুন
আশা
দেখা
গেছে।
গড়ে উঠছে দ্বিগুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রোগীদের শরীরে করোনা বিরুদ্ধে জোরালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে বলে গবেষকেরা দাবি করেছেন। যা তাদের শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ছাপও ফেলতে সক্ষম। এমতাবস্থায় একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরের পরেই গোটা বিশ্ব জুড়ে শুরু হয় চাপানউতোর। তাদের দাবি আজ অর্থাৎ ১৬ জুলাই করোনার নতুন ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করতে পারে অক্সফোর্ড। যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের করোনার বিরুদ্ধে দ্বিগুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে বলেও দাবি করা হয়েছে গবেষকদের একাংশের তরফে।
১৫৫টি করোনা প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে গোটা বিশ্বে
এদিকে বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৫৫টি করোনার প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে ২৩টি কার্যকর প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এই ২৩টি কার্যকর প্রতিষেধকের মধ্যে তিনটির চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে অন্যতম হল অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক (ChAdOx1 nCoV-19/AZD1222)। গত মাসেই ব্রাজিলে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর এই ‘চ্যাডক্স-১' প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছিল অক্সফোর্ড। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমটির দাবি, তাতে অভাবনীয় সাড়া মিলেছে।
কী ভাবে বিশ্ববাসীকে নতুন আশা দেখাতে সক্ষম হচ্ছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ?
এদিকে জুন মাস থেকে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। ব্রাজিস ও দক্ষিণ আফ্রিকার ২ হাজার জনেরও বেশি স্বেচ্চাসেবকের মধ্যে চলে এই পরীক্ষা। তাঁদের মধ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরাও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। শিম্পাঞ্জির শরীর থেকে নেওয়া কম সংক্রামক অ্যাডেনোভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে তৈরি এই ভ্যাকসিন স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে গিয়ে বি-কোষ (B-Cell) ও টি-কোষকে (T-Cell) উদ্দীপিত করে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা। যার জেরে একটা করোনার বিরুদ্ধে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
গরুর দুধ, গোমূত্র খান, তাই ভাল থাকেন! গাধারা গরুর কথা বুঝবে না, বিরোধীদের নিশানা দিলীপ ঘোষের