For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

করোনাভাইরাস: দ. কোরিয়ায় দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের আশঙ্কা, বিধিনিষেধ আবার জোরদার

দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে একদল মানুষ আবার করোনা পজিটিভ হওয়ায় রাজধানীতে পানশালা, ক্লাব সব বন্ধের নির্দেশ। সোলের মেয়র বলেছেন, এসব বন্ধ না করলে "সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটবে"।

  • By Bbc Bengali

ইতায়েওয়ান এলাকার রাস্তা
Getty Images
ইতায়েওয়ান এলাকার রাস্তা

দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে একদল মানুষ আবার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হবার পর কর্তৃপক্ষ রাজধানী সোল জুড়ে পানশালা এবং ক্লাবগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া যখন লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়ায়, তখন নতুন করে আক্রান্তের ঘটনায় আবার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের আশঙ্কা করছে দেশটি।

রোববার দেশটিতে ৩৪ জন কোভিড নাইনটিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। গত এক মাসের মধ্যে এটাই ছিল দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণের হার। এর ফলে সংক্রমণের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ১০, ৮৭৪।

প্রথম দফা প্রাদুর্ভাবের পর দক্ষিণ কোরিয়া খুব দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর ও আপোষহীন পদক্ষেপ নেয় এবং বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশটি যে কৌশল নেয়, তার ফলে দক্ষিণ কোরিয়া এই ভাইরাস মোকাবেলায় সাফল্যের উদাহরণ হয়ে ওঠে।

কিন্তু বিধিনিষেধ শিথিল করার মাত্র কয়েকদিনের মাথায় গতকাল শনিবার রাজধানী সোলের মেয়র নির্দেশ দেন শহরের সব পানশালা এবং ক্লাব বন্ধ করে দিতে হবে। তিনি বলেন নাহলে "সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটবে"।

বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন:

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কীভাবে সফল হলো দক্ষিণ কোরিয়া

করোনাভাইরাস যেভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে জিতিয়ে দিল

বেসামাল দ.কোরিয়া, সন্দেহের কেন্দ্রে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী

প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন
Getty Images
প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন

দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ২৯ বছর বয়স্ক এক তরুণের কাছ থেকে। গত সপ্তাহান্তে সোলের জনপ্রিয় ইতায়েওয়ান এলাকায় রাতের বেলা ফূর্তি করতে বেরিয়েছিল ওই তরুণ।

ওই তরুণ যেসব জায়গায় গিয়েছিল, এখন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সেসব জায়গায় গিয়ে থাকতে পারে সম্ভাব্য এমন ১,৫১০কে পরীক্ষা করার জন্য খুঁজছে।

আজ প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন বলেছেন নতুন করে একটা ক্লাস্টার বা একগুচ্ছ মানুষের মধ্যে এই সংক্রমণ হবার পর "এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে পরিস্থিতি একটা সহনীয় ও স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকলেও তার মধ্যেই যে কোন সময় সংক্রমণ আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে"।

এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এই ভাইরাসের ওপর থেকে নজরদারি কমালে চলবে না। তিনি মন্তব্য করেছেন: "একেবারে শেষ না হলে এ ভাইরাসের শেষ নেই"।

ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এরপর ৩০শে এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়া ঘোষণা করে যে দেশের ভেতরে সেদিন নতুন করে একজনও কোভিড-নাইনটিনে সংক্রমিত হয়নি।

সেদিন যে চারজনের ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর দেয়া হয়েছিল বলা হয়েছিল তাদের প্রত্যেকেই বিদেশ থেকে ঢুকেছিল এবং বিমানবন্দরে ভাইরাস শনাক্ত হবার পর সেখান থেকেই তাদের আলাদা করে ফেলা হয়েছে।

এটাকে দেখা হচ্ছিল দেশটির জন্যে একটা যুগান্তকারী সাফল্য হিসাবে। কারণ এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের গোড়ার দিকে বিশ্বের অন্যতম হটস্পট ছিল দক্ষিণ কোরিয়া।

ওই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটিকে ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হয়েছিল। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল দেশটি সম্পূর্ণভাবে লকডাউনেও যায়নি।

তাই দ্বিতীয়বার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রুখতে দক্ষিণ কোরিয়া কোনরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ।

English summary
Coronavirus: Restrictions are tightened again in South Korea, due to risk of a second round of infection
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X