করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ও মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়ালো
জুন মাস শুরু হওয়ার পর একদিনেও শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজারের নিচে নামেনি বাংলাদেশে। একটানা চারদিন যাবত মৃতের সংখ্যা ৩০ কিংবা তার চেয়ে বেশি। মৃতেদের বেশিরভাগের বয়স ৬০ বছরের বেশি।
বাংলদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ২,৮২৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং আরো ৩০ জন মারা গেছেন।
এনিয়ে বাংলাদেশে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০,৩৯১ জন। আর কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মোট মারা গেছেন ৮১১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪,০৮৮ টি নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য জানা যায় বলে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা।
যতগুলো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে ২০.০৭ শতাংশের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
জুন মাস শুরু হওয়ার পর একদিনেও শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজারের নিচে নামেনি বাংলাদেশে। একটানা চারদিন যাবত মৃতের সংখ্যা ৩০ কিংবা তার চেয়ে বেশি।
নতুন করে মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে ২৩ জনই পুরুষ এবং ৭জন নারী।
নাসিমা সুলতানা বলেন, এখনো পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৩৯ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি। তিনি বলেন, যাদের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে তারাই বেশি মারা যাচ্ছেন । কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বয়সভেদে হার নিম্নরূপ:
১ থেকে ১০ বছর - দশমিক ৮২ শতাংশ
১১ থেকে ২০ বছর - ১.৪৯ শতাংশ
২১ থেকে ৩০ বছর - ৩.৪০ শতাংশ
৩১ থেকে ৪০ বছর - ৮.২৯ শতাংশ
৪১ থেকে ৫০ বছর - ১৭.৩৯ শতাংশ
৫১ থেকে ৬০ বছর - ২৯ শতাংশ
৬০ বছরের বেশি - ৩৯ শতাংশ
দীর্ঘদিন ঘরে থাকার পরও পরিবারের বয়স্কদের মধ্যে কেউ কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছেন। এ কারণে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সাথে মাস্ক পড়ে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলামেশা করার পরামর্শ দেন তিনি।
আজও ৫০টি পরীক্ষাগারের তথ্য বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করা হয় স্বাস্থ্য বুলেটিনে।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন
করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছাবে কবে?
বাড়িতে বসে কোভিড-১৯ চিকিৎসা: যে ছয়টি বিষয় মনে রাখবেন
কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়