এই করোনা টিকার থার্ড ডোজ ওমিক্রন মোকাবিলায় সক্ষম, বলছে গবেষণা
এই করোনা টিকার থার্ড ডোজ ওমিক্রন মোকাবিলায় সক্ষম, বলছে গবেষণা
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। দুটি ডোজের করোনা টিকা নেওয়ার পরেও সক্রমিত হচ্ছেন মানুষ। ওমিক্রন সংক্রমণ কীভাবে রোখা যায় তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনকার করোনা ভ্যাকসিনের থার্ড ডোজে কাবু হচ্ছে ওমিক্রন। অর্থাৎ যাঁরা অ্যাস্ট্রাজেনকার করোনা ভ্যাকসিনের থার্ড ডোজ নিয়েছেন তাঁরা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন না। এতে নতুন করে আশার আলো দেখেছেন গবেষকরা।
করোনা সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতে। মে মাসের পর এই প্রথম দেশে রেকর্ড সংখ্যক করোনা সংক্রমিত হয়েছেন একদিনে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ ছুঁই ছঁই হয়ে গিয়েছিল। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে এখন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় ৫,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সর্বাধিক সংক্রমণ মিলেছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই রয়েছে রাজস্থান এবং দিল্লি। তামিলনাড়ু, কর্নাটকেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে।
করোনা ভাইরাসের দুটি ডোজ নেওয়া ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হতে শুরু করে দিয়েছেন। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে বুস্টারডোজের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। মূলত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ এবং ষাট বছরের উর্ধ্বে যাঁরা তাঁদেরই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে সেই সঙ্গে ১৫ বছরের উর্ধ্বে সকলের করোনা টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে।
এদিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় ভীষণ ভাবে সক্রিয় অ্যাস্ট্রাজেনকার করোনা টিকার থার্ড ডোজ। এই ডোজ নেওয়ার পর সেই ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারছে না কাজেই অ্যাস্ট্রা জেনকার করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ডোজে যাকে বলে কাবু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। একাধিক ব্যক্তির উপর ট্রায়াল করে এই তথ্য হাতে এসেছে অক্সফোর্ডের গবেষকদের। এতে নতুন করে আশার আলো দেখছেন তাঁরা। ওমিক্রন সংক্রমণের তীব্রতা তেমন না থাকলেও তাকে হালকা ভাবে নিতে নিষেধ করেছেন হু-র গবেষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন সংক্রমণকে হালকা ভাবে নিয়ে পরে সমস্যা হতে পারে। যদিও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কম। গোটা দেশে অনেক কম সংখ্যক মানুষ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন। তবে ডেল্টার থেকে এক সংক্রমণ ক্ষমতা ৩ গুণ বেশি।