লাগাতার হিংসায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ, মৃত ৫০
দুই দফায় আটদিন ধরে টানা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের জোট। অন্তত ৪৮ জেলার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রাম জেলায়। গতকাল আবার গাইবান্ধায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেন নাশকতার শিকার হলে অন্তত ৫ জন মারা যান। সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর, বগুড়া, বরিশাল, ঝিনাইদহ, পাবনা, নাটোর, নোয়াখালি, কিশোরগঞ্জ, গাজিপুরেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। যানবাহনে আগুন, পেট্রোল বোমা, ককটেল হামলা ইত্যাদি ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহী, লালমনিরহাট, ব্রাহ্মণবেড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, যশোর, মেহেরপুর প্রভৃতি জেলায় এখনও পর্যন্ত কেউ মারা না গেলেও হিংসাত্মক ঘটনার বিরাম নেই। তুলনায় কিছুটা স্বাভাবিক দেশের বাকি ১৬টি জেলা। এগুলি হল পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, হবিগঞ্জ, জয়পুরহাট, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবন, বাগেরহাট, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরিয়তপুর।
তবে, সবথেকে খারাপ অবস্থা দেশের পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থার। অবরোধের দরুণ সড়ক ও রেলপথে বাকি দেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সামান্য যেটুকু যোগাযোগ রয়েছে, তা নৌপথে। গত আটদিনে ঢাকায় দূরপাল্লার কোনও বাস এসে ঢোকেনি। জেলাগুলি থেকে চাল, শাক-সবজি এসে না পৌঁছনোয় ঢাকায় জিনিসের দাম আগুন। রবি মরসুমের শাক-সবজি ঢাকায় পাঠাতে না পেরে কৃষকরাও বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রসঙ্গত, নওগাঁর আদমদীঘিতে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় খাদ্যগুদামটি রয়েছে। সেখানে দেড় লক্ষ কোটি টন খাদ্যশস্য মজুত থাকা সত্ত্বেও আটদিনে এক বস্তা চালও বের করা যায়নি।