দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্র ডমিনিকার বড়সড় দাবি! ভারত-পাক দ্বন্দ্বের মাঝে কোন বার্তা
দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্র ডমিনিকার বড়সড় দাবি! ভারত-পাক দ্বন্দ্বের মাঝে কোন বার্তা
১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিমকে ঘিরে গত কয়েকদিনে একের পর এক রিপোর্ট আসতে থাকে। ঘটনার মূলে রয়েছে, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক রিপোর্ট যেখানে পাকিস্তান দাউদের পাসপোর্ট নিয়ে তথ্য প্রকাশ করে ফেলেছে। আর তাতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানেই ব হাল তবিয়তে রয়েছে দাউদ। এদিকে, খবর ছিল ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র ডমিনিকাতেও দাউদের ঘাঁটি রয়েছে। এই নিয়ে ডমিনিকা সরকার বড় বার্তা দিয়েছে ।
ডমিনিকার দাবি
দ্বীপরাষ্ট্র ডমিনিকা দাবি করেছে, দাউদ ইব্রাহিম কস্কর কমনওয়েলথ অফ ডমিনিকার বাসিন্দা ছিলেন না। এখনও তিনি সেখানের বাসিন্দা নন। কোনও রকম বিনিয়োগ ডমিনিকাতে করে, দাউদ সেখানে থাকেননি বলে জানিয়েছে, সেদেশের সরকার।
ভারত দাউদকে নিয়ে কী জানিয়েছে?
ভারত এর আগে জানিয়েছিল যে , দাউদ ইব্রাহিমের একাধিক দেশের পাসপোর্ট রয়েছে। তারমধ্যে যেমন পাকিস্তান রয়েছে, তেমনই ভারত ও দুবাইয়ের বিভিন্ন এলাকার নামে পাসপোর্ট রয়েছে তার। এঅমনকি ডমিনিকার পাসপোর্টও দাউদের রয়েছে। ডমিনিকার ইকোনমিক সিটিজেনশিপ প্রোগ্রামের হাত ধরে দাউদ ডমিনিকার নাগরিকত্ব পেয়েছে বলেও দাবি করে ভারতের নথিটি।
অর্থই অনর্থ! কেন দাউদকে গা থেকে ঝাড়ছে পাকিস্তান?
ডি কম্পানি এই মুহূর্তে প্রবল আর্থিক বিপাকের মধ্যে রয়েছে। করোনার জেরে লকডাউনের ফলে টাকার লেনদেন ঘিরে দাউদের যে ব্যবসার রমরমা পাকিস্তানে ছিল, তা কার্যত সূর্যাস্তের পথে। ফলে আর্থিক লাভ লোকসানের হিসাবে ইসলামাবাদ আস্তে আস্তে দাউদের থেকে গা ঝাড়া দিচ্ছে।ডি কম্পানি এই মুহূর্তে প্রবল আর্থিক বিপাকের মধ্যে রয়েছে। করোনার জেরে লকডাউনের ফলে টাকার লেনদেন ঘিরে দাউদের যে ব্যবসার রমরমা পাকিস্তানে ছিল, তা কার্যত সূর্যাস্তের পথে। ফলে আর্থিক লাভ লোকসানের হিসাবে ইসলামাবাদ আস্তে আস্তে দাউদের থেকে গা ঝাড়া দিচ্ছে।
স্বার্থ দেখছে পাকিস্তান
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সামনে এখন FATF-র ধূসর তালিকা সবচেয়ে বড় সমস্যা। আর সন্ত্রাসবাদে যদি পাকিস্তান আর্থিক মদত দেওয়া না ছাড়ে তাহলে FATF এর ওই ধসর তালিকাতেই থাকতে হবে। ফলে পাকিস্তান বাইরে থেকে কোনও আর্থিক অনুদান পাবে না। এমন পরিস্থিতিতে দাউদকে বিশ্বের সামনে না আনাটা পাকিস্তানের বোকামো হয়ে যাচ্ছিল। অন্তত 'গুডবয়' ইমেজ ধরে রাখতে এটাই প্রয়োজন ছিল।
চিনা আগ্রাসন নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের খোঁচা বেজিংকে! মন্ত্রী স্পষ্ট করলেন অবস্থান