চিন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের মাঝেই এবার ভারতকে কাছে চাইছে বেজিং!
গতবছরই ব্যাঙ্ককে আশিয়ান সম্মেলনে যোগ দিয়ে রিজিওনাল কম্প্রেহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের মূল যে সমস্যা এবং উদ্বেগের জায়গা তা এই চুক্তিতে প্রতিফলিত না হওয়ার কারণেই যোগদান করছে না ভারত। আর সেই সমস্যা মেটাতেই এবার উদ্যোগী হল চিন।
করোনা আবহে মার্কিন-চিন বাণিজ্যযুদ্ধ
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে মার্কিন-চিন বাণিজ্যযুদ্ধে গোটা বিশ্বই এখন ঝুঁকে আমেরিকার দিকে। প্রধানমন্ত্রী মোদীও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভালো বন্ধু হিসাবে পরিচিত। এই পরিস্থিতিতে চিন চাইছে আঞ্চলিক শান্তি বজায় রেখে ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো করতে।
কী এই আরসিইপি
উল্লেখ্য, রিজিওনাল কম্প্রেহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ হচ্ছে একগুচ্ছ চুক্তি। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিশ্বের ১৬টি দেশ। এই ১৬টি দেশের মধ্যে রয়েছে ১০টি আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্র এবং চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ভারত।
ভারতের জন্য আরসিইপি-র অর্থ কী হত?
ভারতের বেশ কিছু শিল্পের কাছেই একটি সুসংবাদ হতে পারত। কিন্তু দুগ্ধ খামার থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসা, ক্ষুদ্র ও ছোটো উদ্যোক্তা থেকে তামা উৎপাদক অথবা সাইকেল প্রস্তুতকারী, ই-কমার্স বিপণকারী থেকে ডেটা সার্ভিস প্রোভাইডারের জন্য এই চুক্তি লাভদায়তক হত।
কেন চুক্তি স্বাক্ষর করেননি মোদী?
এই চুক্তিতে স্বাক্ষর না করার কারণ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, 'দেশের মানুষের কথা ভেবেই এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু কোনো সদর্থক উত্তর আমি পাইনি। আরসিইপি আলোচনার সাত বছরের সময় কালে আজ আমরা যখন চারপাশ ঘুরে দেখি, তখন দেখতে পাই বিশ্ব অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য পরিস্থিতি-সহ অনেক কিছুই বদলেছে।'
চিনের বিনিয়োগ ভারতের পথে
অনেকের মতে, আরসিইপি গ্লোবাল ভ্যালু চেইন (জিভিসি)-এ উৎপাদন করতে কিছু সুযোগ এনে দিতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটিও পরিকাঠামোগত অভাবের কারণে একবগ্গা হয়ে উঠত। জিভিসি উৎপাদন বড়ো সংস্থাগুলিকে স্বল্প দামে শ্রম প্রাপ্তির সুবিধার সঙ্গে একাধিক দেশে এটিকে বিস্তৃত করার অনুমতি দেয়। চিনে শ্রমের ব্যয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই সংস্থাগুলি পণ্য তৈরিতে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং ভারতের মতো নতুন অঞ্চলের দিকে তাকাচ্ছে।
ভারতকে কাছে পেতে মরিয়া চিন
তবে ভারতে এমনও আশঙ্কা ছিল যে, চিনা সংস্থাগুলি তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার ধরতে এ দেশকেই ব্যবহার করবে।। গত তিন বছরে, চিনা কোম্পানির বিরুদ্ধে ভারতের অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক যে কোনও দেশের বিরুদ্ধে সর্বাধিক ছিল। ভারতের এই সব আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা করে ফের নতুন করে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চিন।
সাগরে ফুঁসে উঠে বাংলার দোরগোড়ায় ঘূর্ণিঝড় 'আম্ফান'! এনডিআরএফ-র তরফে কোন পরামর্শ