লাদাখের সীমান্তে ফের চিনা আস্ফালন, এলএসি বরাবর মোতায়েন হবে আরও পিএলএ যুদ্ধবিমান
শান্তি আলোচনার মাঝেই ফের চিনা আস্ফালন লাদাখ সীমান্তে। জানা গিয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আরও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে চলেছে চিনা কমিউনস্ট পার্টি। জানা গিয়েছে ভারতের রাফালকে প্রতিহত করতে চিনা সেনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে চলেছে লাদাখ লাগোয়া পশ্চিমা ফ্রন্টে। জানা গিয়েছে কয়েক দিন আগেই চিনা বায়ুসেনার একটি ব্রিগেড সম্মুখ সমরের প্রশিক্ষণ করে। এরপরই জল্পনা আরও বাড়তে থাকে।
সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার ইঙ্গিত
এদিকে জানা গিয়েছে বিগত ৩০ দিন ধরেই আকসাই চিনের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে সেনা বাড়িয়েছে পিএলএ। এবং এর জেরে ফের লাদাখের চলমান সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার ইঙ্গিত মিলল বেজিংয়ের তরফে। অপর দিকে খুব শীঘ্রই ভারত-চিনের তরফে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনাল লক্ষ্যে বসতে চলেছে নবম দফার সেনা পর্যায়ের বৈঠক।
১০টি নতুন ডাগআউট তৈরি
জানা গিয়েছে, চিনের সেনা সমর লুংপাতে অন্তত ১০টি নতুন ডাগআউট তৈরি করছে। সম্প্রতি প্যাংগং হ্রদের ফিঙ্গার ৪ থেকে চিনের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তবে চিন যে লাদাখ সীমান্তে পিছু হটতে তৈরি নয়, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে নয়া এই রিপোর্টে।
শীতের লাদাখে সংঘাত বাড়তে পারে সীমান্তে
কারাকোরাম পাসের ৩০ কিলোমিটার পূর্বে এবং মাজুম পর্বতের দক্ষিণে অবস্থিত রেচিন লাতে নতুন ডাগআউট তৈরি করছে চিন। এছাড়া দৌলত বেগ ওলডি থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কিজিল জিলগাতে সেনা জওয়ান বাড়াচ্ছে চিন। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার একাংশের মত, শীতের লাদাখে সংঘাত বাড়তে পারে সীমান্তে।
দৌলত বেগ ওলডির কাছে তৈরি চিনা সেনার
এদিকে স্প্যানগুর গ্যাপে চিনা সেনার ৬০টি ভারী বাহন আসতে দেখা গিয়েছে শেনডং থেকে। উল্লেখ্য, স্প্যানগুর গ্যাপ এলাকা চুশুলের খুবই কাছে। সেখানেই ভারত ও চিনের মধ্যকার সেনা পর্যায়ের বৈঠকগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে ডেপসাঙেও সেনা বাড়াচ্ছে চিন। এমনকী দৌলত বেগ ওলডির কাছেই সীমান্তের নিকটে দ্রুত গতিতে তৈরি হচ্ছে রাস্তা।
শীতকালীন যুদ্ধের জন্য চিনা প্রস্তুতি
এছাড়া শীতের প্রকোপ থেকে চিনা সেনাদের রক্ষা করতে বিশেষ কনটেইনার আনা হয়েছে লাদাখের সীমান্ত জুড়ে। স্যামজাংলিংয়ের পশ্চিমে অবস্থিত জীবন নালাতে অন্তত পক্ষ ২৮৫টি কনটেইনার দেখা গিয়েছে যেখানে চিনা সেনারা থাকছেন। এদিকে সীমান্ত লাগোয়া চুমর এলাকায় অবস্থিত শিকাউনহি টাউনকে পুরোপুরি অধীনে নিয়ে নিয়েছে চিনা সেনা। শীতকালীন যুদ্ধের জন্য সেখানে সরঞ্জাম মজুত করা হচ্ছে।
মেরুকরণের সমীকরণ কষছে সবাই, ডিসেম্বরেই ওয়েইসি-শাহ 'ফেস-অফ' দেখতে পারে বাংলা