লাদাখ সংঘাতের মাঝে চিনের ধূর্ত নজর মধ্যপ্রাচ্যে! ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে ক্ষুরধার বেজিং-বার্তা
লাদাখ সংঘাতের মাঝে চিনের ধূর্ত নজর মধ্যপ্রাচ্যের বুকে! ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে ক্ষুরধার বেজিং-বার্তা
এশিয়ার বুকে ক্রমাগত বিস্তারবাদের দায়ে কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে চিন। এদিকে, এমন এক পরিস্থিতিতে মেপে ছক কষে, চিন এবার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে জোট শক্তিকে বাড়িয়ে নেওয়ার তালে রয়েছে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এক বার্তায় এদিন চিন কার্যত ইরানের পরমাণু চুক্তিকে সমর্থন করেছে। একনজরে দেখা যাক, কেন ইরানকে সমর্থনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে চিন।
ইরান ও চিনের চাল
মূলত, ভারত ও আমেরিকা বিরোধিতায় বুঁদ রয়েছে চিন। তাই খুঁজে খুঁজে এই দুটি দেশের বিরোধী শিবিরকে নিজের পক্ষে আনার চেষ্টায় চিন। এমনকি ভারতের বন্ধু নেপাল ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এরই নীতি নিয়ে তাদের বেজিং-শিবিরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জিনপিংয়ের দেশ। তবে ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক, দিল্লি হিংসার ঘটনা ঘিরে মাঝে তলানিতে ঠেকলেও,তা পুনরুদ্ধার করতে পরে উদ্যোগ নিয়ে সফল হয় দিল্লি। এদিকে ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত রয়েছে আমেরিকার। এমন অক আঙ্গিকে ইরানকে নিজের পক্ষে আনতে চাইছে চিন।
কেন ইরান গুরুত্বপূর্ণ চিনের কাছে?
মূলত ইরানের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত রয়েছে সৌদি আরবের। যে সৌদি আরবের কাছে আপাতত পাকিস্তান চক্ষুশূল। আর সেই পাকিস্তানই চিনের সব মরশুমের বন্ধু। ফলে সৌদি শিবিরের বিরোধিতা কার্যত স্পষ্ট করেই ইরানকে পক্ষে রেখেছে চিন। অন্যদিকে,চিনের সামনে ইরানকে পক্ষে নেওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল আমেরিকা। ইরানের সেনা প্রধান সুলেমানির মৃত্যুর পর আমেরিকাকে টার্গেটে রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ। আর সেই আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সংঘাত রয়েছে চিনের। ফলে আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়তে হলে চিনের হাতে পড়ে থাকা সর্বময় শক্তি হিসাবে ইরানই থেকে যাচ্ছে।
পরমাণু চুক্তি ও চিন- ইরান
মূলত,২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল আমেরিকার ওবামা প্রশানের মধ্যস্থতায়। সেই চুক্তিকে পরে ট্রাম্প সরকার পরিত্যাগ করেছে। এরপর , ইরানের দিকে সমর্থনের বার্তা দিয়ে চিন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা থামাতে মূলত একটি যৌথ 'ফেরামে'র প্রয়োজন। আর এই 'ফোরাম' এর প্রসঙ্গ তুলে ফের বিশ্বকে শিবিরভূক্ত করার চেষ্টায় চিন।
লাদাখ সংঘাত এবং চিন
একদিকে লাদাখ সংঘাতের আবহ , অন্যদিকে, চিন সাগরে বেজিংয়ের আস্ফালন, সবমিলিয়ে শক্তি ধরে রাখতে চিন আপাতত মধ্যপ্রাচ্যের ওপর ভরসা রাখছে। একদিকে, আমেরিকা সহ কোয়াড ভূক্ত দেশ, অন্যদিকে নতুন করে রাশিয়ার সঙ্গে চিনের সম্পর্কে পতন, সবমিলিয়ে চিন আপাতত শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া কূটনীতির আশ্রয় নিচ্ছে।
অধীর জোটের পক্ষে! একুশের নির্বাচনে মমতা না সূর্য- কার সঙ্গে পথ চলবে কংগ্রেস