গৃহবন্দি চিনা প্রেসিডেন্ট! গুজব উড়িয়ে প্রকাশ্যে এলেন শি জিনপিং
গৃহবন্দি চিনা প্রেসিডেন্ট! গুজব উড়িয়ে প্রকাশ্যে এলেন শি জিনপিং
সম্প্রতি গুজব উঠেছিল, দেশের অভ্যন্তরে অভ্যুত্থান হয়েছে। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। গুজব রটার পর প্রথমবারের জন্য প্রকাশ্যে এলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মঙ্গলবার বেজিংয়ে তিনি একটি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। চলতি মাসের শেষের দিকে কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনে তিনি তৃতীয়বারের জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। তবে চিনের অভ্যন্তরে জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে।
জল্পনা উড়িয়ে প্রকাশ্যে জিনপিং
সম্প্রতি বেজিংয়ে সামরিক উত্থানের জল্পনা শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। যদিও বেজিংয়ে সামরিক উত্থানের বিষয়ে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। করোনা মহামারীর পর তিনি প্রথমবারের জন্য মধ্য এশিয়া এসইও সম্মেলনে দেশের বাইরে যান। উজবেকিস্তান থেকে ফেরার পর থেকে তাঁকে আর জনসমক্ষে দেখতে পাওয়া যায়নি। তারপর থেকেই জল্পনা চরম আকার ধারণ করে। গুজব রটে বেজিংয়ে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তবে সেটা যে শুধুমাত্র জল্পনা বা গুজব ছিল তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। শি জিনপিংকে একটি প্রদর্শনীতে দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
শি জিনপিংয়ের সামনের প্রতিকূলতা
একদশক ধরে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতায় আছেন। সেখানে তাঁকে একাধিকবার বড় বড় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে। তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন, একদিকে যেমন ধসে পড়া অর্থনীতি ছিল, তেমনি অন্যদিকে বিদ্রোহী ক্রমেই মাথা চাড় দিতে শুরু করেছিল। এছাড়া পশ্চিমি দেশগুলোর সঙ্গে একাধিকবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, করোনা মহামারী রোধ, তাইওয়ান ইস্যু, হংকংয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন রোধে একাধিকবার কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছেন। কমিউনিস্ট পার্টির তরফে তাঁকে তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
চিনা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ
কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল। ক্ষমতায় আসার পরেই শি জিনপিং কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যদিও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ওগুলো চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য। ক্ষমতায় আসার পরেই শি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে দেওয়ার কাজ করেন। হংকংয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতে একাধিক কঠোর ও নির্মম পদক্ষেপ নিয়েছেন শি জিনপিং। এছাড়াও করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর নীতি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর তিনি নতুন করে পুনঃশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কারাগার স্থাপন করেন। সেখানে উইঘুর সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয়।আন্তর্জাতিক মহল একাধিকবার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে সরব হয়েছে।
অসন্তোষ বাড়ছে চিনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে
ক্রমেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মনে একটা অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। শনিবার বেজিংয়ের একটি সেতুতে জিনপিং বিরোধী একটি স্লোগান দেওয়া ব্যানার টাঙানো হয়। পাশাপাশি বিক্ষোভকারী রবিবার ধর্মঘটের ডাক দেন এবং দেশের সমস্ত কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো ভেঙে ফেলার ডাক দেন। যদিও চিনা পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। তাঁকে যে নির্মম অত্যাচারের শিকার হতে হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু অনলাইনে দেশের মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। কেউ তাঁকে নয়া ট্যাঙ্কম্যান বলছেন তো কেউ তাঁকে
বিদ্রোহী বাবার সন্তান থেকে চিনের প্রেসিডেন্ট! উত্থান পতনে ভরা জিনপিংয়ের রঙিন জীবন