ইচ্ছাকৃত ভাবেই ক্র্যাশ করানো হয় চিনের বিমানটিকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত খবরে
বছরের শুরুতেই বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চিনের একটি যাত্রীবাহী বিমান। আর এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।
China Jet Crash: বছরের শুরুতেই বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চিনের একটি যাত্রীবাহী বিমান। আর এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।
আর তাদের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ে যাওয়া বিমানটিকে জেনে বুঝেই নাকি ক্র্যাশ করানো হয়। আর এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১২৩ জন যাত্রী এবং ৯ জন ক্র' মেম্বারের মৃত্যু হয়। আর এই খবর সামনে আসার পর থেকেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও এখনও বেজিংয়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলেই খবর।
Crash site pic.twitter.com/8qJWYK8FhS
— ChinaAviationReview (@ChinaAvReview) March 21, 2022
ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষা করে বেশ কিছু তথ্য জানা গিয়েছে
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট অনুসারে, বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষা করে বেশ কিছু তথ্য জানা গিয়েছে। আর তা অনুযায়ী ককপিটে কেউ জেনে বুঝেই ওই বিমানটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। এছাড়াও আমেরিকার আধিকারিকরাও এই বিষয়ে তদন্ত করে। আর সেই তদন্ত প্রক্রিয়াতে অংশ নেওয়া এক তদন্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যার সঙ্কেত পাওয়া যায়নি ওই বিমানটিতে। আর এরপরেই ক্র এবং চালকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।
জেনে বুঝেই বিমানটিকে দ্রুত ফেলে দেওয়া হয়?
রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে যে, প্লেনটি ২৯ হাজার ফুট উঁচু থেকে প্রায় তিন মিনিটেরও কম সময়ে ৯ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছে যায়। এরপর ২০ সেকেন্ড পরেও বিমানটি ৩ হাজার ফুট উঁচুতেও ছিল। এত উঁচু থেকে নীচে আসার ক্ষেত্রে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা বলে দাবি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের। আর এই অবস্থায় ককপিটে থাকা কোনও সন্দেহভাজন জেনে বুঝেই বিমানটিকে দ্রুত ফেলে দেওয়ার জন্যে জোর করে বলে দাবি খবরে।
এ ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে
যদিও মার্কিন জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি। বলে রাখা প্রয়োজন, এই বছর মার্চ মাসে কুমিং থেকে গুয়াংজু যাওয়ার পথে পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ে বোয়িং 737-800। পড়ার সময়ে বিমানটিতে ভয়ঙ্কর আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ঘটনাকে ভয়ঙ্কর বলে ব্যাখ্যা করে চিন। শুধু তাই নয়, গত কয়েক শতকের মধ্যে সবথেকে বড় বিমান দুর্ঘটনা বলেও দাবি করা হয় চিনের তরফে। আর এর মধ্যেই এ ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।