কালো চশমার ক্যারিশমা, ধরিয়ে দেবে অপরাধী, দেখুন ভিডিও
দল অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া-র বিরুদ্ধে জেতার পরই বিসিসিআই সকলের জন্য আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
শাহরুখ খানের বাদশা মনে পড়ে, সিবিআইয়ের ওয়ার্কশপ থেকে বাদশাকে যে বিভিন্ন গ্যাজেট দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল একটি এক্সরে গগল।
যা পড়ে শত্রুদের ছোট ছোট অস্ত্রও দেখে নিতে পারতেন শাহরুখ খান। এমনকি কার্যত প্রত্যেকই নগ্ন হয়ে যেতেন যিনি এই গগলস পড়ে থাকতেন তাঁর চোখে।
অনেকটা এই ধরণের গগলসের-ই আরও আধুনিকীকরণ সেরে নিয়েছে চিন। এবার অপরাধীদের ধরতে মোক্ষম অস্ত্র হয়ে উঠতে চলেছে এই আধুনিক চশমা। গুইয়াং প্রদেশে ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়ে গেছে এই প্রযুক্তির ব্যবহার। কেমন হবে জানেন এই প্রযুক্তি।
শহরে বসবাসকারী সমস্ত নাগরিকের মুখের ছবি ফেসিয়াল রেকগনিশন পদ্ধতির সাহায্যে পুলিশ ডাটাবেসে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে প্রতিটা পুলিশের গগলসে ফেস রেকগনিশন থাকবে। যাঁদের নিয়ে সন্দেহ থাকবে, বা সন্দেহভাজনদের ছবি মুহূ্র্তে ধরা দেবে পুলিশের সেই ক্যামেরায়। ভিড়ের মধ্যে থেকেও অপরাধীদের সনাক্ত করে নিতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হবে না পুলিশের।
তবে এতে দুর্নীতিদমন যেমন সহজ হবে তেমনিই নাগরিকদের জীবনযাপনের ব্যক্তিগত বিষয়গুলি আরও বেশি করে প্রশাসনের হাতে চলে যাবে। চিন পুলিশের দাবি এই গগলসের ব্যবহারে ইতিমধ্যেই ৭ জন দোষীর সনাক্তকরণ করা গেছে।
জেঙ্গঝাউ -র ট্রেনস্টেশনের মতো ব্যস্ততম জায়গায় এই চশমার ব্যবহারে দোষী সনাক্ত হয়েছে। মানব পাচার ও গাড়ি ধাক্কা মারার মতো ঘটনায় এই গগলস কাজে আসবে মনে করছে চিন প্রশাসন। ২৬ জন মানুষ যাঁরা মিথ্যা আইডেনটিটি নিয়ে ঘুরছেন তাঁরা ধরা পড়েছেন এটাও জানিয়েছে চিনের বামপন্থী প্রশাসন।
চিন পুলিশের ডাটাবেসে যে সব ছবি স্টোর হয়ে আছে তার সঙ্গে সরাসরি পুলিশদের গগলসের যোগাযোগ থাকবে। সেই সেন্ট্রাল ডাটাবেস থেকে পুলিশের কাছে পৌঁছে যাবে সন্দেহভাজনের নাম ও ঠিকানা।
তবে শুধু নিরাপত্তাবিষয়ক ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি হবে তা মনে করা হচ্ছে না। এটা রাজনৈতিক ও জাতিগত পর্যবেক্ষণের কাজেও ব্যবহার করতে পারে চিন প্রশাসন এমনটাই মনে করছে তারা। ফেসিয়াল রেকগনিশনের ক্ষেত্রে চিন পথ প্রদর্শক।
১৭০ মিলিয়ন সিসিটিভি ক্যামেরা ইতিমধ্যেই বসে গেছে , আর আগামী ৩ বছরের মধ্যে আরও ৪০০ মিলিয়ন সিসিটিভি ও বসে যাবে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে ফেসিয়াল রেকগনিশন দিয়ে অপরাধ দমনে কোমড় বেঁধে নেমে পড়বে প্রশাসন।