ফের রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অন্তর্ভূক্তির পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল প্রতিবেশী চিন
ফের একবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অন্তর্ভূক্তি আটকে দিল প্রতিবেশী চিন। রাশিয়ার সমর্থন সত্ত্বেও নিরাপত্তা পরিষদে ভারতও ও ব্রাজিলের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে চিন দাবি করে যে, এই বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিস্তর মতের ফারাক রয়েছে।
রাশিয়ার বক্তব্য
বুধবার ভারত সফরে এসে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সারগেই লাভরভ নিরপত্তা পরিষদে ভারও ও ব্রাজিলের অন্তর্ভূক্তিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, 'আমরা নিশ্চিত যে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখা অর্থনৈতিক শক্তির অন্যতম ভারত। তাছাড়া বিশ্বে রাজনৈতিক প্রভাবের নতুন কেন্দ্র গঠনের উদ্দেশ্য নতুন প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। তাতে যে দেশগুলির অন্তর্ভূক্তি প্রয়োজন তাদের মধ্যে ভারত অবশ্যই অন্যতম একটি দেশ।'
চিনের আপত্তিতেই এত বছর আটকে ভারত
নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫। তার মধ্যে ৫টি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী পদ। দুই বছরের জন্য ওই অস্থায়ী সদস্যপদের মেয়াদ। আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশের জন্য পাঁচটি অস্থায়ী সদস্যপদ সংরক্ষিত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরা হল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন। তাদের মধ্যে ৪ টি দেশই সম্মতি প্রকাশ করেছে ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার ব্যাপারে। তবে এই পরিষদে থাকা ৫টি দেশের কাছেই ভিটো শক্তি রয়েছে। অর্থাৎ, তাদের মধ্যে যে কোন একটি দেশ সুরক্ষা কাউন্সিলের অন্য সকলের সর্বসম্মত ভোটের দ্বারা নেওয়া যে কোনও সিদ্ধান্তকে অবরুদ্ধ করতে পারে।
পাকিস্তান ও চিনের সমর্থনে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী পদে ভারত
এর আগে জুন মাসে ২০২১-২২ সালের জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতের আবেদনকে সমর্থন করে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ। প্রসঙ্গত সেই গ্রুপে আছে পাকিস্তান ও চিন। ভারতের আবেদনকে এবারই প্রথম সমর্থন করল এই দুই দেশ। ভারতের জন্য যা একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর আগে সাত বার ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ পেয়েছিল।
ভারতের পথের কাঁটা চিন
দীর্ঘ দিন ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ৫টি দেশ। গত কয়েক বছরের একাধিকবার আবেদন সত্ত্বেও স্থায়ী সদস্যপদ পায়নি ভারত। ভারতের আবেদনে প্রত্যেকবার ভেটো দিয়েছে চিন। তবে ভারতের অস্থায়ী সদস্যপদের আবেদনকে সমর্থন জানিয়েছিল চিন। কিন্তু এবার চিন বলে, 'নিরাপত্তা পরিষদে ভারত ও ব্রাজিলের অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিস্তর মতের ফারাক রয়েছে।' এবং এই মন্তব্য করেও ফের ভারতের স্থয়ী সদস্য পদের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল চিন।