কনকনে ঠাণ্ডাতে লাদাখে বাড়ছে উত্তাপ, নতুন করে শক্তি বাড়াচ্ছে চিনা ফৌজ
কনকনে ঠাণ্ডাতে লাদাখে বাড়ছে উত্তাপ, নতুন করে শক্তি বাড়াচ্ছে চিনা ফৌজ
কনকনে ঠান্ডা পড়তে শুরু করে দিয়েছে লাদাখে। কিন্তু সীমান্ত ঠান্ডা হচ্ছে না। কারণ একটাই ফের লাদাখ সীমান্তে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে বেজিং। সূত্রের খবর লাদাখ সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের জন্য বিশেষ সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে বেজিং। তাঁরা যাতে কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও সবরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে তার জন্য একাধিক সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দিচ্ছে বেজিং। লালফৌজের জন্য বেজিংয়ের এই বিশেষ তৎপরতায় ঘুম ছুটেছে দিল্লির। হঠাৎ করে সীমান্তর জওয়ানদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির নেপথ্যে কোনও পরিকল্পনা কাজ করছে কিনা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
লাদাখ সংঘাত
২০২০ সাল থেকে চিনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে টানাপোড়েন চলছে ভারতের। প্যংগং সো হ্রদ সংলগ্ন এলাকা কার দখলে থাকবে এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলছে সংঘাত। ভারত প্যাংগং সো হ্রদকে নিজের দেশের অংশ বলে জানিয়েছে। কিন্তু চিন তা মানতে নারাদ। তারা দাবি করেছে প্যাংগং সো হ্রদ তাঁদের দেশের অংশ। এই নিয়ে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতও হয়েছে। তাতে একদিকে যেমন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছে অন্যদিকে তেমন চিনা জওয়ানদেরও মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে উত্তেজনা প্রবণ হয়ে রয়েছে লাদাখ সীমান্ত।
দফায় দফায় আলোচনা ব্যর্থ
রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে আলোচনার পথে হেঁটেছে দুই দেশ। কিন্তু বারবার আলোচনায় বসেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। প্রায় ১৬ বার আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সেনা পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশই সেনা সরাতে নারাজ। অনেকটা আলোচনা করে শেষ পর্যন্ত কিছুটা পিছু হঠেছে দুই দেশই। কিন্তু প্যাংগং সো হ্রদ নিয়ে সেই সমস্যা যে িতমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। কিছুতেই দুই দেশ নিজের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ। চিনা ফৌজ জানিয়ে দিয়েছে প্যাংগং সো হ্রদের পাশ থেকে কিছুতেই নিজেদের ক্যাম্প সরাবে না তারা। ভারতও তাই বেঁকে বসেছে।
সেনা বাড়াচ্ছে বেজিং
কয়েকদিন
আগেই
খবর
পাওয়া
গিয়েছিল
ফের
লাদাখ
সীমান্তে
সেনা
বাড়াতে
শুরু
করেছে
বেজিং।
সেখানে
সেনাবাহিনীর
ক্যাম্প
পাকা
করতে
শুরু
করেছে
তারা।
এমনকী
শীতে
যাতে
সেখানে
কর্তব্যরত
জওয়ানদের
কষ্ট
না
হয়
সেকারণে
শীত
মোকাবিলার
জন্য
প্রয়োজনীয়
সরঞ্জাম
পাঠাতে
শুরু
করেছে
লালফৌজ।
তার
সঙ্গে
অস্ত্রও
মজুত
করা
হচ্ছে
বলে
জানা
গিয়েছে।
প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য
লাদাখে
শীতকালে
তাপমাত্রা
হিমাঙ্কের
অনেক
নীচে
নেমে
যায়।
সেকারেেণ
শীতের
মধ্যে
লাদাখে
নিয়ন্ত্রণ
রেখা
থেকে
একটু
সরে
আসে
জওয়ানরা।
কিন্তু
এবার
সেটা
করছে
না
লালফৌজ।
উল্টে
শীত
মোকাবিলা
করে
কীভাবে
পাহারা
দেওয়া
যায়
তার
প্রস্তুতি
করতে
শুরু
করে
দিয়েছে
তারা।
কী কী পাঠাচ্ছে বেজিং
হিমাঙ্কের নীচে তুষারে আবৃত থাকে লাদাখ। সারাবছর ঠান্ডা থাকলেও শীতকালে একটু বেশিই ঠান্ডা পরে সেখানে। তাই সেই ঠান্ডার মধ্যেও কীভাবে জওয়ানরা থাকবেন তার জন্য বিশেষ পোশাক থেেক শুরু করে শরীর গরম রাখার খাবারদাবার ওষুধ সব কিছু পাঠিয়েছে বেজিং। তাতে রয়েছে রিচার্জেবল ভেস্ট। যেটা ইলকট্রিক সংযোগে গরম করা যায়। সেটা পরলে শরীর গরম থাকবে। নি প্রোটেক্টর এবং গরম ওভারকোট। যাতে ঠান্ডার লেশ মাত্র ঢুকতে পারবে না। আবার শোনা যাচ্ছে অক্সিজেন চেম্বারও সেখানে সেনাবািহনীর জন্য পাঠানো হচ্ছে। সেখানে জওয়ানদের অক্সিজেন থেরাপি করা হবে। উচ্চতার কারণে লাদাখে অক্সিজেন কম থাকে। সেকারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই তাঁদের ভাল রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । অর্থাৎ কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও সেনাবাহিনীকে চাঙ্গা রাখতে সবরকম পদক্ষেপ করছে বেজিং।