রক্তক্ষয়ী সেনা সংঘর্ষের পর গালওয়ান উপত্যকায় প্রথমবার সার্বভৌমত্বের দাবি চিনের
রক্তক্ষয়ী সেনা সংঘর্ষের পর গালওয়ান উপত্যকায় প্রথমবার সার্বভৌমত্বের দাবি চিনের
ইতিমধ্যেই লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ভারতের ২০ জন সেনা-জওয়ান। যার মধ্যে ছিলেন একজন কমান্ডিং অফিসার। এদিকে একাধিক চিনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র অনুযায়ী চিনেরও প্রায় ৫ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
বিগত কয়েক দশকে প্রথমবার গালওয়ানে সার্বভৌমত্বের দাবি করছে চিন
আকসাই চিন এলাকা থেকে লাদাখ ঘিরে বয়ে চলা প্রাচীন গালওয়ান নদী উপত্যকা অঞ্চলই ভারত ও চিনের চলতি সংঘাতের কারণ হয়ে উঠেছে। কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবার এই এলাকায় সার্বভৌমত্বের দাবি করছে চিন। ১৯৬২-র যুদ্ধের সময়ও যে জায়গা গুলিতে ভারত ও চিনের লড়াই বড় আকার ধারণ করেছিল সেগুলির মধ্যে অন্যতম গালওয়ান উপত্যকা।
ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ চিনা কমান্ডারের
এদিকে এই এলাকায় সেনা সংঘর্ষের পর গালওয়ান উপত্যকায় সার্বভৌমত্বের দাবি করতে দেখা গেল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির পশ্চিম থিয়েটার কম্যান্ড ঝ্যাং শুইলিকে। তার দাবি দীর্ঘদিন থেকেই লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা নাকি চিনের অংশ। পাশাপাশি গালওয়ানে বর্তমান সেনা সংঘর্ষের পিছনে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন তিনি। পাশাপাশি ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন তিনি।
কি বলছে ভারতীয় সেনা ?
ঝ্যাং শুইলির দাবি দাবি নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সোমবার রাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতীয় সেনা। এর আগে সেনাপ্রধানদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল তা ভারতীয় সেনা দল অমান্য করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। যদিও ভারতীয় সেনা জানায়, পারস্পরিক শান্তি চুক্তি মেনে লাদাখের গালোয়ান উপত্যকা সরে আসতে থাকে ভারতীয় সেনা। সেই সময় অতর্কিতে আক্রমণ চালায় লালফৌজ। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা জবাবও দেয় ভারতের সেনা জওয়ানরা।
কেন গালওয়ান উপত্যকা কে পাখির চোখ করছে চিন ?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে দুই পক্ষের চলতি সংঘর্ষের একটা প্রধান কারণ গালওয়ান উপত্যকার কাছের একটি রাস্তা। এই রাস্তাই এই এলাকার সঙ্গে দৌলতবেগ বিমানঘাঁটির সংযোগ স্থাপন করছে। গত বছরের অক্টোবরে এই বিমান ঘাঁটি উদ্বোধন করেছিল ভারত। সমান্তরাল। গালওয়ান উপত্যকার মতো দুর্গম এলাকায় যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থা সুগম করাই এর লক্ষ্যেই এই রাস্তা তৈরি করে ভারত। আর এটাই ঈর্ষার কারণ হয়েছে চিনের। কারণ এই রাস্তা দিয়ে এখন ভারত অনেক দ্রুত ও সহজে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সামরিক পরিবহন করতে পারছে। তাই এই এলাকায় ভারতের ক্ষমতা বৃদ্ধি রুখতেই পা পা দিয়ে ঝামেলা পাকাতে চাইছে চিন।
লাদাখের ভারত-চিন সংঘর্ষের একদিন পর শহিদ জওয়ানদের নিয়ে টুইট প্রতিরক্ষামন্ত্রীর! কী বললেন রাজনাথ?