জাতে ব্রিটিশ নন, এই কথা শুনিয়ে বিলেতে দত্তকে বাধা ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতিকে
শ্বেত বর্ণের শিশু দত্তক নিতে বাধা ভারতীয় মূলের ব্রিটিশ দম্পতিকে, ভারতে গিয়ে দত্তক নেওয়ার পরামর্শ, আদালতের দ্বারস্থ দম্পতি
ফের বর্ণ বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠল ব্রিটেনে। শুধুমাত্র ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় এক শিখ দম্পতিকে দত্তক নিতে দেওয়া হল না।এমনকী তাঁদের ভারতে গিয়ে শিশু দত্তক নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আইনি পথে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক সন্দীপ ও রিনা মান্দের।
ভারতীয় মূলের হলেও সন্দীপ ও রিনা মান্দের জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক। বিয়ের সাত বছর পরেও সন্তান না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বার্কশায়ারের এই দম্পতি। সেই মতই একটি চাইল্ড অ্যাডপশন এজেন্সিতে আবেদন করতে যান তাঁরা। মান্দের দম্পতির কোনও বাছবিচার ছিল না,যে কোনও বর্ণ বা দেশের শিশুই তাঁরা দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অ্যাডপশন এজেন্সিতে গিয়ে তাঁদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ওই দম্পতির।তাঁদের পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল, যেহেতু শ্বেতবর্ণের বাচ্চাদের চাহিদা বেশি, তাই ব্রিটিশ বা ইউরোপিয়নরাই আবেদনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। তাঁরা চাইলে ভারতে গিয়ে শিশু দত্তক নিতে পারেন বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মান্দের দম্পতি। তাঁদের সমর্থন করেছে সেদেশের মানবাধিকার সংগঠনও। সন্দীপ জানিয়েছেন, তাঁরা শুধুমাত্র একটি শিশুকে নিরাপত্তা ও বাবা- মায়ের ভালবাসা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শুধুমাত্র ভারতীয় মূলের হওয়ার কারণে তাঁদের আবেদন পর্যন্ত করতে দেওয়া হল না। সন্দীপ জানিয়েছেন, ভারতীয় মূলের হলেও ভারতের সঙ্গে তাঁদের বিশেষ যোগাযোগ নেই।
ব্রিটেনে মূলত জাতি ও বর্ণের ভিত্তিতেই দত্তক দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ব্রিটিশ ও অন্য়ান্য ইউরোপিয় দেশের নাগরিকরাই অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। যদিও সেদেশের সরকার ২০১২ সালেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর জাতি ও বর্ণ কোনও বাধা হবে না। তবে সেই নির্দেশের পরেও পরিস্থিতি যে বদলায়নি, মান্দের দম্পতিই তার অন্যতম উদাহরণ।