
সর্বকালীন রেকর্ড, ব্রিটেনে পারদ পৌঁছে গেল ৩৯.১ ডিগ্রিতে
গরমে নাজেহাল অবস্থা ইংল্যান্ডের। তাপমাত্রা কমার লক্ষণ তো নেই উলটে তা ক্রমে বেড়েই চলেছে। ব্রিটেনের হাওয়া অফিস জানাচ্ছে যে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দক্ষিণ ইংল্যান্ডে। সেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির মাত্র ০.৯ ডিগ্রি কম রয়েছে।

কোথায় ৪০ ছুঁই ছুঁই পারদ ?
ব্রিটেনের আবহাওয়া অফিস মঙ্গলবার জানিয়েছে, দক্ষিণ ইংল্যান্ডের চার্লউড, সারেতে ৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল তাপমাত্রা। এটাই এখনও পর্যন্ত ব্রিটেনের কোথাও রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। রেকর্ড তাপমাত্রায় বলা যেতেই পারে মানুষ হাঁসফাঁস করছেন।

ইংল্যান্ডের আবহাওয়া কেমন হয় ?
ইংল্যান্ডের আবহাওয়া সবসময়েই স্যাঁতস্যাঁতে থাকে। আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে বেশিরভাগ সময়ে। বৃষ্টি হয় বেশি। পারদ খুব মেরে কেটে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি ওঠে। এর বেশি তাপমাত্রা হয় না, কিন্তু বিগত কয়েক বছরে কিছু পকেটে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। এবারে একদম গরম ব্রিটেনের সর্বত্র ঝাঁঝিয়ে দিচ্ছে তা বলা যেতেই পারে।

কী বলছে হাওয়া অফিস ?
আবহাওয়া অফিস টুইটারে বলেছে যে, "যদি নিশ্চিত করা হয় তবে এটাই হবে ব্রিটেনে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আজ থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে,"। ২০১৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক গার্ডেনে ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এর আগে রেকর্ড রেকর্ড করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই অনুযায়ী বলা যেতেই পারে ব্রিটেনের এই পরিস্থিতি বিরল ঘটনাগুলির মধ্যে একটি। হাওয়া অফিস তাই ব্রিটেনে রেড অ্যালার্ট জারি করে দিয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো চরম তাপপ্রবাহের মতো সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে গরম, শুষ্ক আবহাওয়া ইউরোপের মূল ভূখণ্ডকে ঝলসে দিচ্ছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার জুড়ে ব্রিটিশদের সার্বিক রিয়েল ফিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল বলে জানা গিয়েছে।

কী বলছে রেকর্ড ?
ব্রিটেনের আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে ব্রিটেনে এর আগে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ব্রিটেনের যেমন অবস্থা খারাপ। তেমনভাবেই নাজেহাল অবস্থা সারা ইউরোপের মানুষের। এই সময়ে সব জায়গাতেই ইউরোপে গরম পড়ে। কিন্তু তাপমাত্রা এই জায়গায় চলে যায় না, কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে তাপমাত্রা অনেক জায়গাতেই এমন জায়গায় চলে যাচ্ছে। চরম তাপমাত্রা তো রয়েইছে সঙ্গে আবার বৃষ্টিও নেই। ফ্রান্সে একাধিক জায়গায় দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। স্পেনেও অবস্থা একইরকম। দাবানলে ২ জনের মৃত্যুর খবররও মিলেছে।