হাসিনার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও হিন্দুদের ওপর হামলা অব্যাহত
সদ্যসমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামি লিগ বিপুল ভোটে জেতায় বিএনপি-জামায়ত শিবিরের যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে হিন্দুদের ওপর। কারণ, হিন্দুরা বরাবর আওয়ামি লিগের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে পরিচিত। ফলে প্রাণের দায়ে এখন হিন্দুদের লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার অন্তর্গত বেড়াডাঙ্গা বাজারে হিন্দুদের দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চলে। কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। পার্বতীপুরে ভোটের আগে থেকে হিন্দু বাড়িগুলিতে এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছিল খালেদা জিয়ার দলের কর্মীরা। ভোটের পর লাঠি, বল্লম নিয়ে তারা চড়াও হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে রাতের অন্ধকারে হামলা চালানো হয়। দিনাজপুরে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে অন্তত ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। রংপুরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ২০০১ সালের নির্বাচনের পরও অনুরূপভাবে হামলা চালিয়েছিল বিএনপি, জামায়ত-ই-ইসলামি।
তবে বাঁশখালিতে প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয়েছে হামলাকারীদের। এখানে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে আওয়ামি লিগ। দু'পক্ষের মারামারি, অগ্নি সংযোগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে অবস্থা আয়ত্তে আনে।