বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিখোঁজ ইস্যুতে কেন প্রিয়া সাহাকে ঘিরে তোলপাড়! কোনপথে হাসিনার সরকার
বাংলাদেশের বুকে সংখ্যালঘুরা কেউ সুরক্ষিত নয়। মার্কিন মাটিতে দাঁড়িয়ে ,খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে গিয়ে এই বার্তা দিয়ে আসেন বাংলাদেশের ভূমিকন্যা প্রিয়া সাহা।
বাংলাদেশের বুকে সংখ্যালঘুরা কেউ সুরক্ষিত নয়। মার্কিন মাটিতে দাঁড়িয়ে ,খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে গিয়ে এই বার্তা দিয়ে আসেন বাংলাদেশের ভূমিকন্যা প্রিয়া সাহা। আর তার পর থেকেই পদ্মাপাড়ে ক্রমেই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। বাংলাদেশে প্রিয়ার বাড়িরর সামনে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে শুরু করে শাসকদলের নেতানেত্রীদের কড়া মন্তব্যও প্রিয়ার বিরুদ্ধে চলে আসতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ জুড়ে প্রিয়ার বিরুদ্ধে 'দেশদ্রোহিতা'র অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, মার্কিন মুলুক থেকে সতলিমা নাসরিনে র মতো বুদ্ধিজীবীরাও প্রিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর তার ফলেই খানিকটা নমনীয় মনোভাব নিয়েছে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে হাসিনা সরকার। হাসিনা সরকারের দাবি প্রিয়ার ব্যাখ্যা না শুনে কোনও মন্তব্য বা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া চলবে না। প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনে ধর্মীয় সংখ্য়ালঘুদের এক আলোচনা সভা আয়োজিত হয়েছিল হোটাইট হাউসে। উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখনেই জনসমক্ষে প্রিয়া জানান বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ সংক্যালঘু মানুষ নিখোঁজ।দেশভাগের সময় সংখ্যালঘুরা সেখানে মোট জনসংখ্যার ২৯.৭ শতাংশ ছিল। কিন্তু ২০০১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুর শতাংশ মোট জনসংখ্যার ৯.৭ শতাংশ।
বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদ প্রিয়া সাহাকে গিরো রীতিমতো তোলপাড় গোটা বাংলাদেশ। সেদেশের শাসকদল আওয়ামী লিগের দাবি, এটা সরকার বিরোধী চক্রান্ত কেলমাত্র। প্রথমে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রক। তবে বর্তমানে লন্ডনে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দেন গোটা বিষয় পর্যালো চনা না করে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া চলবে না। আর তার জেরে ২ টি মামলা তুলে নেয় বাংলাদেশ সরকার।