বাংলাদেশে একসঙ্গে ৭ জনকে খুনের ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
২০১৪ সালে একসঙ্গে ৭ জনকে খুনের ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখল বাংলাদেশের হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করে ২ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ
২০১৪ সালে একসঙ্গে ৭জনকে খুনের ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখল বাংলাদেশের হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ।
ঘটনায় অভিযুক্ত বাকি ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে ছয়টি দেহ, পরদিন মেলে আরেকটি দেহ। নিহত বাকিরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গির আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহিম। ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম আওয়ামি লিগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নামে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় ১১ মে একই থানায় আরেকটি অভিযোগ দায়ের হয়। এ মামলার বাদি পক্ষের অপর জন হলেন, চন্দন সরকারের জামাই বিজয়কুমার পাল। পরে দুটি অভিযোগ একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ।
দুই
মামলায়
চলতি
বছরের
১৬
জানুয়ারি
নারায়ণগঞ্জের
জেলা
ও
দায়রা
জজ
আদালত
রায়
দেন।
রায়ে
র্যাবের
তৎকালীন
১৬
কর্মকর্তা-সদস্য
এবং
নারায়ণগঞ্জের
তৎকালীন
ওয়ার্ড
কাউন্সিলর
নূর
হোসেন
ও
তাঁর
নয়
সহযোগীসহ
মোট
২৬
জনের
মৃত্যুদণ্ডাদেশ
দেয়
আদালত।
এ
ছাড়া
র্যাবের
আরও
নয়জন
তৎকালীন
কর্মীকে
বিভিন্ন
মেয়াদের
সশ্রম
কারাদণ্ড
দেওয়া
হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ
প্রাপ্ত
২৬
জনই
নিম্ন
আদালতের
রায়ের
বিরুদ্ধে
হাইকোর্টে
আবেদন
করেন।
মঙ্গলবার
ওই
ছাব্বিশজনের
মধ্যে
১৫
জনের
মৃত্যুদণ্ডের
রায়
বহাল
রাখে
হাইকোর্ট।