রাষ্ট্রপতির জেলেনস্কিকে হত্যার আরও একটি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা হয়েছে, জানাল ইউক্রেন
রাষ্ট্রপতির জেলেনস্কিকে হত্যার আরও একটি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা হয়েছে, জানাল ইউক্রেন
একমাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলছে৷ অস্ত্রশক্তিতে ধারে ও ভারে রাশিয়ার কয়েকশ যোজনের মধ্যে নাএলেও এখনও মস্কোর সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধ করে চলেছে ইউক্রেন৷ এবং যিনি এই অল্প শক্তিতেও মাতৃভূমি রক্ষা করে চলেছেন অকুতোভয়ে তিনি হলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমাবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কিছু আততায়ীর দ্বারা জেনেলস্কিকে হত্যার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে তাদের সেনা ও গোয়ান্দারা। তবে এই প্রথম নয় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার তার উপর হামলার চেষ্টার কথা জানিয়েছেন জেলেনস্কি৷
ইউক্রেনের দাবি তাদের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ান স্পেশাল সার্ভিসের নেতৃত্বে আরেকটি গুপ্তহত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন। সোমবার কিয়েভ পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান স্পেশাল সার্ভিসের নেতৃত্বে ২৫ জনের একটি সামরিক দলকে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ স্লোভাকিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তের কাছে গ্রেফতার করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল জেলেনস্কিকে নির্মূল করা। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে টুইট করে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে৷ টুইটে লেখা হয়েছে, ভলোদিমির জেলেনস্কির জীবন নিয়ে আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এই সময়, রাশিয়ার বিশেষ স্পেশাল সার্ভিসের আততায়ীদের ২৫ জনের একটি সামরিক দল স্লোভাকিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তের কাছে বন্দি হয়েছে। তাদের লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনিয়ান প্রেসিডেন্টকে শারীরিকভাবে নির্মূল করা। ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হত্যার আরোও একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ওড়বার আগেই জোরে ধাক্কা, বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল বিমান
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে তৃতীয়বার জেলেনস্কিকে হত্যার ছক কষা হল বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগ৷ সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের যুদ্ধস্থল থেকে ৮০ কিমি দূরে পোল্যান্ড ওয়ারশ শহরে বক্তব্য রেখেছেন ন্যাটোর সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ তিনি নিজের বক্তব্যে রাশিয়ার সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা (রাশিয়ানরা) কেউ আমাদের শত্রু নন৷ কিন্তু আপনাদের ঈশ্বরের দিব্যি এই লোকটিকে (পুতিনকে) ক্ষমতায় রাখা ঠিক নয়। এরপরই অভিযোগ উঠতে শুরু হয়েছে যে রাশিয়ায় সরকার ভেঙে ফেলতে চায় আমেরিকা৷ যদিও বাইডেনের বক্তব্যের পরই উঠে পড়ে লেগেছে হোয়াইটহাউস। এবং তারা জানিয়েছে এখানে রাশিয়ার সরকার ভাঙা গড়ার ব্যাপার নেই বরং অন্য দেশে যাতে আক্রমণ না করে পুতিন সেই বার্তায় দেওয়া হয়েছে।