লাদাখ ইস্যুতে কড়া বার্তা আমেরিকার! ভারতের বিরুদ্ধে চিনা আগ্রাসন বিরোধী প্রস্তাব পেশ মার্কিন সেনেটে
লাদাখ ইস্যুতে কড়া বার্তা আমেরিকার! ভারতের বিরুদ্ধে চিনা আগ্রাসন বিরোধী প্রস্তাব পেশ মার্কিন সেনেটে
ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত ইস্যুতে এবার বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়াল আমেরিকা। ইতিমধ্যেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে দুই মার্কিন সেনেটর চিন বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি-র পুরনো স্থিতাবস্থার পক্ষেও সওয়াল করা হয়েছে বলে খবর।
কড়া ভাষায় নিন্দা চিনের আগ্রাসী মনোভাবের
সূত্রের খবর, রিপাবলিকান সেনেটের জন কর্নিন এবং সেনেট সিলেক্ট কমিটির গোয়েন্দা কমিটির সদস্য পদে থাকা সেনেটর মার্ক ওয়ার্নারের এই প্রস্তাব এনেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে লাদাখের প্রকৃতনিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় লাগাতার চিনের শক্তি বৃদ্ধি, সেনা মোতায়েন ও একাধিক বেআইনি অবকাঠামো নির্মাণের তীব্র নিন্দা করা হয়। একইসাথে গত কয়েকমাস ধরে একাধিকবার যে ভাবে ভারতীয় সেনাকে পর্যদুস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং তারও কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়।
কি বললেন রিপাবলিকান সেনেটের জন কর্নিন
এদিকে কর্নিন ও ওয়ার্নার দুজনেই সেনেট ইন্ডিয়া কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বলেো জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কর্নিন বলেন, "সেনেট ইন্ডিয়া কমিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কের গুরুত্ব প্রথম থেকেই জানি। ভারত যেভাবে চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করছে আমরা তাঁর প্রশংসা করি। আমাদের এই ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থনও রয়েছে।
কি বললেন মার্ক ওয়ার্নার
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওয়ার্নার বলেছেন, "১৫ই জুন লাদাখে ভারত চিন সেনা সংঘর্ষ ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু সত্যিই অশনিসংকেত। বিতর্কিত অঞ্চলে চিনের উষ্কানিমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এখনই কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। এই রেজলিউশনটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করছে। বিশেষত দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যেও গণপ্রজাতান্তিরক চিনের খবরদারিরও নিন্দা জানায়। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই ২০২০ সালেই দুই দেশ এলএসি-তে সমাধানের পথ খুঁজে পাবে বলে আমরা আশা করছি।"
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা গতকয়েক মাসে লাগাতার শক্তি বৃদ্ধি চিনের
এদিকে প্রায় ৪৫ বছর পরও ফের রক্ত ঝরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়। ১৫ই জুন ভারত-চিন রক্তক্ষয়ী সেনা সংঘর্ষে ভারতের তরফে প্রাণ হারান প্রায় ২০ জন সেনা জওয়ান। আহত হন আরও ৭৬ জন। তার মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় সেনার এক কর্নেলও। সেই সংঘর্ষে চিনেরও বহু সেনা হতাহত হয়েছে। এদিকে তারপর থেকেই ক্রমেই চড়েছে চিন ভারত উত্তেজনার পারদ। সীমান্তে ক্রমেই ক্ষমতা বৃদ্ধি করে গেছে চিন। দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরের বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র।
আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত প্রশান্ত ভূষণ! সুপ্রিম কোর্টের কড়া বার্তা আইনজীবী